রংপুর জেলার সেহেরী ও ইফতারের সময়সূচি সম্পর্কে জানতে হলে পোস্টের ভেতরে দেখুন।
রংপুর জেলা ও আশেপাশের থানা এবং উপজেলাসমূহের সেহেরী ও ইফতারের সময়-সূচী সামান্য
পরিমাণে কমবেশি হতে পারে। তবে নিম্নে দেওয়া সময় অনুসারে সেহেরী ও ইফতার করলে কোন
সমস্যা আশা করি হবেনা ইন-শা-আল্লাহ।
নিচে ৩০টি রমজানের সেহেরী ও ইফতারের সময়সূচি বিস্তারিত আকারে দেওয়া হলো। আশা করি
আপনাদেরকে আর বিভিন্ন ক্যালেন্ডার কিনে ঝুলিয়ে রাখতে হবেনা। বর্তমানে ডিজিটাল যুগ
হওয়াই সকলের কাছেই স্মার্ট ফোন আছে। আপনি এই সূচিপত্রের স্ক্রিনশর্ট রেখে দিতে
পারেন।
সাহরী ও ইফতারের সময়সূচি কেন্দ্রিয় ভাবে যদি কেউ অনুসরণ করে তাহলে সেইটা ঢাকার
সময়-সূচিকে অনুসরণ বা অনুকরণ করতে হবে। কিন্তু বর্তমানে রংপুর থেকে ঢাকার দূরুত্ব
অনুসারে কয়েক মিনিট পরে রংপুর ইফতারের সময় সূচি পাওয়া যায় এবং সেই সাথে সেহেরীর
সময়টাও ওই একই ভাবে কম বেশি হয়ে থাকে। তাই সেহেরী এবং ইফতার রংপুরের মধ্যেকার
মানুষদের জন্য রংপুরের সময় অনুসরণ বা অনুকরণ করতে হবে।
হিজরী
খৃষ্টাব্দ
বঙ্গাব্দ
বার
সেহেরীর শেষ সময়
ইফতারের সময়
০১ রমজান
০২ মার্চ
১৭ ফাল্গুন
রবিবার
৫:০৯ AM
৬:০৫ PM
০২ রমজান
০৩ মার্চ
১৮ ফাল্গুন
সোমবার
৫:০৮ AM
৬:০৬ PM
০৩ রমজান
০৪ মার্চ
১৯ ফাল্গুন
মঙ্গলবার
৫:০৭ AM
৬:০৬ PM
০৪ রমজান
০৫ মার্চ
২০ ফাল্গুন
বুধবার
৫:০৬ AM
৬:০৭ PM
০৫ রমজান
০৬ মার্চ
২১ ফাল্গুন
বৃহস্পতিবার
৫:০৫ AM
৬:০৭ PM
০৬ রমজান
০৭ মার্চ
২২ ফাল্গুন
শুক্রবার
৫:০৪ AM
৬:০৮ PM
০৭ রমজান
০৮ মার্চ
২৩ ফাল্গুন
শনিবার
৫:০৩ AM
৬:০৮ PM
০৮ রমজান
০৯ মার্চ
২৪ ফাল্গুন
রবিবার
৫:০২ AM
৬:০৯ PM
০৯ রমজান
১০ মার্চ
২৫ ফাল্গুন
সোমবার
৫:০১ AM
৬:০৯ PM
১০ রমজান
১১ মার্চ
২৬ ফাল্গুন
মঙ্গলবার
৫:০০ AM
৬:১০ PM
১১ রমজান
১২ মার্চ
২৭ ফাল্গুন
বুধবার
৪:৫৯ AM
৬:১০ PM
১২ রমজান
১৩ মার্চ
২৮ ফাল্গুন
বৃহস্পতিবার
৪:৫৮ AM
৬:১১ PM
১৩ রমজান
১৪ মার্চ
২৯ ফাল্গুন
শুক্রবার
৪:৫৭ AM
৬:১১ PM
১৪ রমজান
১৫ মার্চ
০১ চৈত্র
শনিবার
৪:৫৬ AM
৬:১২ PM
১৫ রমজান
১৬ মার্চ
০২ চৈত্র
রবিবার
৪:৫৫ AM
৬:১২ PM
১৬ রমজান
১৭ মার্চ
০৩ চৈত্র
সোমবার
৪:৫৪ AM
৬:১৩ PM
১৭ রমজান
১৮ মার্চ
০৪ চৈত্র
মঙ্গলবার
৪:৫৩ AM
৬:১৩ PM
১৮ রমজান
১৯ মার্চ
০৫ চৈত্র
বুধবার
৪:৫২ AM
৬:১৪ PM
১৯ রমজান
২০ মার্চ
০৬ চৈত্র
বৃহস্পতিবার
৪:৫১ AM
৬:১৪ PM
২০ রমজান
২১ মার্চ
০৭ চৈত্র
শুক্রবার
৪:৫০ AM
৬:১৫ PM
২১ রমজান
২২ মার্চ
০৮ চৈত্র
শনিবার
৪:৪৯ AM
৬:১৫ PM
২২ রমজান
২৩ মার্চ
০৯ চৈত্র
রবিবার
৪:৪৮ AM
৬:১৬ PM
২৩ রমজান
২৪ মার্চ
১০ চৈত্র
সোমবার
৪:৪৭ AM
৬:১৬ PM
২৪ রমজান
২৫ মার্চ
১১ চৈত্র
মঙ্গলবার
৪:৪৬ AM
৬:১৭ PM
২৫ রমজান
২৬ মার্চ
১২ চৈত্র
বুধবার
৪:৪৫ AM
৬:১৭ PM
২৬ রমজান
২৭ মার্চ
১৩ চৈত্র
বৃহস্পতিবার
৪:৪৪ AM
৬:১৮ PM
২৭ রমজান
২৮ মার্চ
১৪ চৈত্র
শুক্রবার
৪:৪৩ AM
৬:১৮ PM
২৮ রমজান
২৯ মার্চ
১৫ চৈত্র
শনিবার
৪:৪২ AM
৬:১৯ PM
২৯ রমজান
৩০ মার্চ
১৬ চৈত্র
রবিবার
৪:৪১ AM
৬:১৯ PM
৩০ রমজান
৩১ মার্চ
১৭ চৈত্র
সোমবার
৪:৪০ AM
৬:২০ PM
সেহেরী খাওয়া নিয়ে কিছু কথা
সেহেরী খাওয়া রোজা রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ইসলামি শরিয়তের
নির্দেশ মোতাবেক সেহেরী খাওয়া রোজাদ্বারের জন্য মুস্তাহাব বা উৎসাহি এবং এটি
রোজার বা সিয়ামের সাওয়াব বৃদ্ধি পাওয়ার একটি উপায়। সেহেরী খাওয়ার সময় শেষ হওয়ার
আগে পর্যন্ত খাওয়া যাবে। তবে যতটা সম্ভব সেহেরী শেষ সময়ের দিকে খাওয়াই
ভালো।
১. শক্তি প্রদানঃ সেহেরী খাওয়ার মাধ্যমে সারাদিন রোজা রাখার জন্য শরীরে শক্তি
পাওয়া যায়।
২. রোজা থাকা সহজ হয়ে যায়ঃ সেহেরী খেলে রোজা রাখা সহজ হয়ে যায়। কারণ দিনের বাকি
সময় শরীর পানির অভাব বা শক্তির শক্তির ঘাটতি অনুভব করে না।
৩. আল্লাহর অনুগ্রহঃ সেহেরী খাওয়া আল্লাহর কাছে প্রিয় এবং এতে বিশেষ বরকত
রয়েছে।
সেহেরী খাওয়া নিয়ে হাদিস
১. সেহেরী খাওয়ার মধ্যে বরকত রয়েছে, সেহেরী খাও, কারণ তা রোজাদ্বারের জন্য
পরিতৃপ্তি এবং আল্লাহর তরফ থেকে সাহায্য বয়ে আনে। (বুখারি ও মুসলিম)
২. আমরা যদি সেহেরী খাওয়ার ক্ষেত্রে একবেলার সময়ও পিছিয়ে রাখি তাতে আমাদের লাভ
হবে। (মুসলিম)
৩. তোমরা সেহেরী খাও, যদিও তা সপুট জল দিয়ে হোক, কারণ সেহেরী খাওয়ার মধ্যে বরকত
রয়েছে। (বুখারি ও মুসলিম)
সেহেরী খাওয়ার সঠিক নিয়ম
সেহেরী শেষ করার জন্য সর্বত্তোম সময় ফজরের আযান হওয়ার আগে কিছু সময় পর্যন্ত
অপেক্ষা করা। এ সময়ের মধ্যে খাওয়া যাবে, তবে আযানের পরে আর সেহেরী খাওয়া যাবে
না।
সেহেরী খাওয়ার পরে আযানের আগে পর্যন্ত বেশি বেশি পানি অল্প অল্প করে বার বার
পান করা যেতে পারে যেনো সারাদিনে শরীরে আর পানির অভাব দেখা না দেয়।
ইফতার খাওয়া সম্পর্কে হাদিস কি বলে
ইফতার (রমজানের রোজা ভঙ্গ করার সময়) ইসলামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বিশেষ
সওয়াবের কাজ। ইফতার করার সময় আল্লাহর কাছে দোয়া কবুল হওয়ার বিশেষ মুহূর্ত বলে
হাদিসে উল্লেখ রয়েছে। ইফতার করার সময় বিশেষ কিছু দোয়া পড়ারও নির্দেশ আছে।
ইফতার করার সময় যত বেশি সৎ কাজ করা যায়, ততই সওয়াব পাওয়া যায়।
ইফতার করার সম্পর্কে হাদিস
হাদিস: "যে ব্যক্তি রোজা রেখে সেহেরী ও ইফতার করেছে, সে আল্লাহর কাছে সৎ
কাজের মাধ্যমে এক ধরনের খুশি লাভ করে।" (বুখারি ও মুসলিম)
হাদিস: "যে ব্যক্তি রোজা ভঙ্গ করতে গিয়ে পানি দিয়ে ইফতার করে, আল্লাহ তার
গুনাহ মাফ করেন এবং তার আমলকে সফলতা দেন।" (আবু দাউদ)
হাদিস:
"তোমরা দ্রুত ইফতার করো, কারণ মুসলিমদের মধ্যে এটা একটি সুন্নাত।" (বুখারি
ও মুসলিম)
হাদিস:
"তোমরা ইফতার করার সময় দ্রুত করো, কেননা আল্লাহর নবী (সা.) বলেছেন, 'যত দ্রুত
সম্ভব ইফতার করা উচিত, কারণ তা মুসলিমদের মধ্যে আল্লাহর রাস্তায় দ্রুত চলার
লক্ষণ।'" (বুখারি)
হাদিস:
"রোজা ভঙ্গ করার সময় যে ব্যক্তি মোমিন ভাইয়ের হাতে তার রোজা খুলতে সাহায্য
করে, তাকে আল্লাহ তাঁর গুনাহ মাফ করে দেন এবং তাকে জান্নাতে স্থান দেয়।"
(আবু দাউদ)
ইফতার করার সময় কিছু সুন্নত
ইফতার করার আগে দোয়া করা: ইফতার করার সময় বিশেষ দোয়া পড়া উচিত, যেমন: "اللهم
إني لك صمت وبك آمنت وعليك توكلت وبك أفطرت"
অর্থাৎ, "হে আল্লাহ, আমি তোমার জন্য রোজা রেখেছি, তোমার উপর বিশ্বাস স্থাপন
করেছি, তোমার ওপর ভরসা করেছি এবং তোমার কাছে ইফতার করছি।"
খেজুর দিয়ে ইফতার করা: আল্লাহর রাসূল (সা.) ইফতার করার জন্য খেজুর খাওয়ার
সুন্নত দিয়েছেন। যদি খেজুর না থাকে, তাহলে পানি দিয়ে ইফতার করা যেতে পারে।
ধীরে ধীরে ইফতার করা: তাড়াহুড়া না করে ধীরে ধীরে ইফতার করা, যাতে শরীর
ভালোভাবে গ্রহণ করতে পারে।
রমজান মাসের ইবাদতসমূহ
রমজান মাস হল ইসলামের সবচেয়ে পবিত্র মাস, যেখানে মুসলিমরা বেশি বেশি ইবাদত
করে আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করে। এই মাসে প্রধান ইবাদতসমূহ হলো—
১. রোজা রাখা (সিয়াম)
রমজানের অন্যতম প্রধান ইবাদত হলো রোজা রাখা। সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত
পর্যন্ত সব ধরনের পানাহার ও অন্যান্য মানসিক ও শারীরিক কু-প্রবৃত্তি থেকে
বিরত থাকার নাম রোজা।
২. তারাবিহ নামাজ
রমজানের রাতে তারাবিহ নামাজ পড়া সুন্নাত। সাধারণত মসজিদে জামাতের সঙ্গে ৮ বা
২০ রাকাত তারাবিহ নামাজ আদায় করা হয়।
৩. কুরআন তিলাওয়াত
রমজান মাসে কুরআন নাজিল হয়েছে, তাই এ মাসে কুরআন তিলাওয়াতের গুরুত্ব অনেক
বেশি। অনেকে প্রতিদিন কুরআন তিলাওয়াত করে এবং এ মাসে একাধিকবার খতম করার
চেষ্টা করে।
৪. ইফতার করানো
রমজানে রোজাদারদের ইফতার করানো একটি মহৎ কাজ। রাসুল (সা.) বলেছেন, “যে
ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, সে তার সমপরিমাণ সওয়াব পাবে।” (তিরমিজি)
৫. সেহরি খাওয়া
সেহরি খাওয়ার মধ্যে বরকত রয়েছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, “সেহরি খাও, কেননা এতে
বরকত আছে।” (বুখারি, মুসলিম)
৬. দোয়া ও জিকির
রমজান মাসে বেশি বেশি দোয়া ও জিকির করা উচিত। বিশেষ করে, রোজা অবস্থায় ও
ইফতারের সময় দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
৭. লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান
রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে লাইলাতুল কদর খোঁজা উচিত। আল্লাহ বলেন,
"লাইলাতুল কদর হলো হাজার মাসের চেয়ে উত্তম।" (সূরা আল-কদর)
৮. ইতিকাফ
রমজানের শেষ দশকে অনেক মুসলিম মসজিদে ইতিকাফ করে। এটি সুন্নাতে মুআক্কাদা,
যার মাধ্যমে মুসলমানরা একনিষ্ঠভাবে ইবাদতে মগ্ন হন।
৯. দান-সদকা ও জাকাত প্রদান
রমজানে দান-সদকা ও জাকাত প্রদান করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ। রাসুল (সা.) রমজানে
অন্য সময়ের চেয়ে অনেক বেশি দান করতেন।
রমজান গুনাহ থেকে মুক্তির মাস। তাই বেশি বেশি ইস্তেগফার ও তওবা করা উচিত, যেন
আল্লাহ আমাদের পাপ ক্ষমা করে দেন। রমজানের এই ইবাদতগুলোর মাধ্যমে আল্লাহর
সন্তুষ্টি অর্জন করা যায় এবং পরকালীন মুক্তির পথ সুগম হয়।
সাবধানতা অবলম্বন
রমজান মাস হল ইসলামের সবচেয়ে পবিত্র মাস, যেখানে মুসলিমরা
বেশি বেশি ইবাদত করে আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করে। এই
মাসে প্রধান ইবাদতসমূহ হলো—
১. রোজা রাখা (সিয়াম)
রমজানের অন্যতম প্রধান ইবাদত হলো রোজা রাখা। সুবহে সাদিক
থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সব ধরনের পানাহার ও অন্যান্য
মানসিক ও শারীরিক কু-প্রবৃত্তি থেকে বিরত থাকার নাম রোজা।
২. তারাবিহ নামাজ
রমজানের রাতে তারাবিহ নামাজ পড়া সুন্নাত। সাধারণত মসজিদে
জামাতের সঙ্গে ৮ বা ২০ রাকাত তারাবিহ নামাজ আদায় করা হয়।
৩. কুরআন তিলাওয়াত
রমজান মাসে কুরআন নাজিল হয়েছে, তাই এ মাসে কুরআন
তিলাওয়াতের গুরুত্ব অনেক বেশি। অনেকে প্রতিদিন কুরআন
তিলাওয়াত করে এবং এ মাসে একাধিকবার খতম করার চেষ্টা করে।
৪. ইফতার করানো
রমজানে রোজাদারদের ইফতার করানো একটি মহৎ কাজ। রাসুল (সা.)
বলেছেন, “যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, সে তার
সমপরিমাণ সওয়াব পাবে।” (তিরমিজি)
৫. সেহরি খাওয়া
সেহরি খাওয়ার মধ্যে বরকত রয়েছে। রাসুল (সা.) বলেছেন,
“সেহরি খাও, কেননা এতে বরকত আছে।” (বুখারি, মুসলিম)
৬. দোয়া ও জিকির
রমজান মাসে বেশি বেশি দোয়া ও জিকির করা উচিত। বিশেষ করে,
রোজা অবস্থায় ও ইফতারের সময় দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি
থাকে।
৭. লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান
রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে লাইলাতুল কদর খোঁজা
উচিত। আল্লাহ বলেন, "লাইলাতুল কদর হলো হাজার মাসের চেয়ে
উত্তম।" (সূরা আল-কদর)
৮. ইতিকাফ
রমজানের শেষ দশকে অনেক মুসলিম মসজিদে ইতিকাফ করে। এটি
সুন্নাতে মুআক্কাদা, যার মাধ্যমে মুসলমানরা একনিষ্ঠভাবে
ইবাদতে মগ্ন হন।
৯. দান-সদকা ও জাকাত প্রদান
রমজানে দান-সদকা ও জাকাত প্রদান করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ।
রাসুল (সা.) রমজানে অন্য সময়ের চেয়ে অনেক বেশি দান করতেন।
১০. তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা
রমজান গুনাহ থেকে মুক্তির মাস। তাই বেশি বেশি ইস্তেগফার ও
তওবা করা উচিত, যেন আল্লাহ আমাদের পাপ ক্ষমা করে দেন।
রমজানের এই ইবাদতগুলোর মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন
করা যায় এবং পরকালীন মুক্তির পথ সুগম হয়।
রমজান মাসের প্রধান কিছু সাবধানতা অবলম্বন
রমজান মাস অত্যন্ত পবিত্র একটি সময়, যেখানে ইবাদত-বন্দেগির
পাশাপাশি কিছু বিষয় থেকে বিরত থাকা জরুরি। নিচে রমজানের
প্রধান কিছু সাবধানতা তুলে ধরা হলো—
১. রোজা রাখার মূল উদ্দেশ্য ভুলে যাওয়া
রোজা শুধু না খেয়ে থাকার নাম নয়; এটি আত্মশুদ্ধি, তাকওয়া
অর্জন এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য রাখা হয়। তাই
শুধুমাত্র ক্ষুধা-তৃষ্ণা সহ্য করাই যথেষ্ট নয়, বরং সমস্ত
খারাপ কাজ থেকেও বিরত থাকতে হবে।
মিথ্যা কথা ও গিবত (পরনিন্দা) করা
২. রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
"যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা বলা ও তদনুযায়ী কাজ করা
পরিত্যাগ করল না, তার পানাহার পরিত্যাগে আল্লাহর
কোনো প্রয়োজন নেই।" (বুখারি) তাই রোজা রেখে
মিথ্যা বলা, গিবত করা বা কারও ক্ষতি করা থেকে বিরত থাকা
উচিত।
৩. চোখ, কান ও মুখের সংযম রক্ষা না করা
শুধু খাওয়া-দাওয়া থেকে বিরত থাকাই যথেষ্ট নয়; আমাদের চোখ,
কান ও মুখকেও সংযত রাখতে হবে। হারাম ও অনৈতিক কিছু দেখা,
অশ্লীল কথা বলা বা অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা বলা থেকে বিরত
থাকা উচিত।
৪. রাগ ও ঝগড়া-বিবাদ করা
রমজানে ধৈর্যশীল হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাসুল (সা.)
বলেছেন, "যদি কেউ তোমার সঙ্গে ঝগড়া করতে চায় বা গালি দেয়, তবে
বলো—আমি রোজাদার।" (বুখারি, মুসলিম)
৫. নামাজ ও অন্যান্য ইবাদতে অলসতা করা
অনেকে শুধু রোজা রাখে, কিন্তু পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ঠিকমতো
পড়ে না বা ইবাদতে অলসতা করে। রমজানের উদ্দেশ্য হলো আমাদের
জীবনকে আরও বেশি আল্লাহমুখী করা, তাই নামাজসহ সব ইবাদত
ঠিকমতো আদায় করা উচিত।
৬. সময়ের অপচয় করা
অনেকেই রমজানের দিনের বড় অংশ ঘুমিয়ে বা অপ্রয়োজনীয় কাজে
ব্যয় করে। বরং এই সময়টা কুরআন তিলাওয়াত, দোয়া-ইস্তেগফার ও
আল্লাহর স্মরণে কাটানো উচিত।
৭. অতিরিক্ত খাওয়া ও অপচয় করা
অনেক সময় ইফতার ও সেহরিতে অতিরিক্ত খাওয়া হয়, যা স্বাস্থ্য
ও ইবাদতের জন্য ক্ষতিকর। অপচয় করাও ইসলামে নিষেধ। বরং সংযত
হয়ে, পরিমিত আহার করা উচিত।
৮. হারাম উপার্জন করা বা হারাম কাজ করা
রমজানে বিশেষ করে সব ধরনের হারাম উপার্জন ও কাজ থেকে বিরত
থাকা উচিত, যেমন—সুদ, ঘুষ, প্রতারণা, নিষিদ্ধ ব্যবসা
ইত্যাদি।
৯. ইফতার ও সেহরির সময়সূচি অমান্য করা
ইচ্ছাকৃতভাবে সময়ের আগে বা পরে ইফতার-সেহরি করা রোজার
সঠিকতা নষ্ট করতে পারে। রাসুল (সা.) বলেছেন, "মানুষ ততক্ষণ কল্যাণের মধ্যে থাকবে, যতক্ষণ তারা দ্রুত
ইফতার করবে।"(বুখারি, মুসলিম)
১০. তাকওয়া অর্জনে উদাসীনতা
রমজানের মূল লক্ষ্য তাকওয়া অর্জন, যা আল্লাহভীতি ও নৈতিক
চরিত্র উন্নয়নের মাধ্যমে আসে। তাই এই মাসে শুধু বাহ্যিক
ইবাদত নয়, অন্তরের পরিশুদ্ধিতেও মনোযোগ দেওয়া উচিত। এই
সাবধানতাগুলো মেনে চললে রমজান আরও ফলপ্রসূ হবে এবং আল্লাহর
নৈকট্য অর্জন করা সহজ হবে, ইনশাআল্লাহ।
মন্তব্য
সেহেরী খাওয়ার মাধ্যমে একজন রোজাদার তার শরীরে শক্তির যোগান দিয়ে থাকে। এছাড়াও
প্রধান উপকারিতা হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি। পরকালের কথা চিন্তা করেই এইসব কিছু
আল্লাহর হুকুমে মুসলিম হিসেবে পালন করা। আর ইফতার! ইফতার শুধুমাত্র রোজা ভঙ্গ
করা নয়, এটি একটি অত্যন্ত বরকতপূর্ণ কাজ। আল্লাহর কাছে দোয়া করা, সৎ কাজ করা
এবং সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ইফতার করা আমাদের ইসলাম ধর্মের মুসলিম জাতির জন্য
গুরুত্বপূর্ণ।
পরিশেষে বলা যায় যে, আমাদের প্রত্যেকেরই এই সময়সূচির দিকে লক্ষ্য রেখে সেহেরী ও
ইফতার করা প্রয়োজন। অনেকেই মনে করে থাকি আর একটু পরে শুরু করি বা আরেকটু আগে
ইফতার শুরু করি এইটা আসলে ঠিকনা। আপনার সময় হয়ে গেলে অবশ্যই ইফতার করতে হবে। আমার
এই পোস্ট ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং কোন ত্রুটি বা উপদেশ
দেওয়ার থাকলে তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। সকলেই ভালো থাকবেন এবং সিয়াম সাধনা
করবেন সঠিক ভাবে। আসসালামু আলাইকুম।
ABM Creative IT'র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url