ঈদের দিনে যে কাজগুলো করা প্রয়োজন

মুসলিম বিশ্ব জাহানের প্রধান উ‌ৎসব হচ্ছে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা। এই দুই উৎসবে সকল মুসলিম আনন্দ করে থাকে। ঈদ মানে খুশি বা আনন্দ উৎসব। আর ফিতর মানে রোজা ভঙ্গ করা। 

ঈদের-দিনে-যে-কাজগুলো-করা-প্রয়োজন

আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ৩০টি রোজা পালন করে আনন্দের সাথে এই দিনে রোজা ভঙ্গ করি। তাই এই দিনকে ঈদুল ফিতর বলে। এই দিনে আমাদের অনেক কিছু করনীয় আছে যা সুন্নত। এগুলো আমাদের পালন করা প্রয়োজন। আবার অনেক ভুল ভ্রান্তিও করি।  যা আমাদের সংশোধন করা উচিত। 

সূচিপত্রঃ ঈদের দিনে যে কাজগুলো করা প্রয়োজন 

ঈদের দিনে যে কাজগুলো করা প্রয়োজন 

ঈদের দিনে আমাদের অনেক সুন্নত পালন করতে হয়। যেমন: ঈদের নামাজে যাওয়ার আগে গোসল করা বা পবিত্র হওয়া, পরিষ্কার ও পবিত্র কাপড় পরা, সুগন্ধি ব্যবহার করা, নামাজে যাওয়ার আগে কিছু খাওয়া, যাওয়ার সময় তাকবির পড়া আরও বেশ কিছু কাজ রয়েছে। আর এইসব নিয়েই আজকের এই পোস্ট চলুন তাহলে জেনে আসা যাক ঈদ-উল-ফিতর এর দিনে আমাদের করণীয় সম্পর্কে-

ঈদের চাঁদ দেখা

ঈদের চাঁদ উঠলে চাঁদ দেখা ও চাঁদ দেখে তাকবির পাঠ করা সুন্নত। যেইটা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈদের চাঁদ দেখে তাকবির পাঠ করতেন। 

চাঁদ দেখার জন্য যেই দোয়াটি পড়তে হয়- 
للَّهُمَّ أَهِلَّهُ عَلَيْنَا بِالْأَمْنِ وَالْإِيمَانِ، وَالسَّلَامَةِ وَالْإِسْلَامِ، وَالتَّوْفِيقِ لِمَا تُحِبُّ وَتَرْضَى، رَبِّي وَرَبُّكَ اللَّهُ

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল-আমনি ওয়াল-ঈমান, ওয়াস-সালামাতি ওয়াল-ইসলাম, ওয়াত-তাওফীকি লিমা তুহিব্বু ওয়াতারদা, রাব্বী ওয়া রাব্বুকাল্লাহ।

আরও পড়ুনঃ রমজান মাসে বেশি বেশি কোরআন তেলওয়াতের ফজিলত

অর্থঃ হে আল্লাহ! আমাদের জন্য এই চাঁদকে নিরাপত্তা, ঈমান, শান্তি ও ইসলামের সঙ্গে উদিত করুন। আর আমাদের সেই কাজের তাওফিক দিন, যা আপনি ভালোবাসেন এবং যাতে আপনি সন্তুষ্ট হন। হে চাঁদ! আমার ও তোমার রব আল্লাহ। 
ঈদের-দিনে-যে-কাজগুলো-করা-প্রয়োজন
এই দোয়াটি নতুন চাঁদ দেখার সময় পড়া সুন্নত। চাঁদ দেখার দোয়া পড়ে চাঁদ দেখতে হবে ইসলাম শরীয়ত অনুসারে।

ঈদের তাকবির- اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لَا إِلٰهَ إِلَّا اللَّهُ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ وَلِلَّهِ الْحَمْدُ

উচ্চারণ: আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ; আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লিহিল হামদ। ঈদের চাঁদ উঠা থেকেই ঈদের দিন শুরু হয়)

অর্থঃ আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান। আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই এবং আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান, আর সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।

এটি ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার সময় বেশি বেশি পড়া সুন্নত। এটি আল্লাহর মহিমা ঘোষণা করা ও তাঁকে প্রশংসা করার একটি বিশেষ তাকবির।

নামাজে যাওয়ার আগে গোসল করা বা পবিত্র হওয়া

ঈদের দিনে নামাজে যাওয়ার আগে সকালে গোসল করা সুন্নত। পবিত্রতা হলো ইমানের অঙ্গ। তাই এই দিনে পবিত্র থাকা সুন্নত। গোসলের আগে মিসওয়াক করা উচিত। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) হতে বর্ণিত‌- রাসুল (সা) ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার দিনে গোসল করে ঈদগাহ্ ময়দানের দিকে রওনা দিতেন। (বুখারীঃ ১/১৩০)

পরিষ্কার ও পবিত্র কাপড় পরিধান করা 

ঈদের দিনে পরিষ্কার কাপড় পরিধান করা সুন্নত। আমাদের যার যেমন সাধ্য সেইভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কাপড় পরিধান করা উচিত। আমাদের প্রিয় নবী (সা) সবসময় পরিষ্কার পোশাক পরিধান করতেন। ইবনুল কাইয়ুম (রহ.) বলেন- নবী (সা) দুই ঈদে সবচেয়ে সুন্দর ও উত্তম পোশাক পরিধান করতেন। তার একটা বিশেষ পোশাক ছিল, যা তিনি দুই ঈদ ও জুমার দিনে পরিধান করতেন।

ঈদের-দিনে-যে-কাজগুলো-করা-প্রয়োজন
আরেকটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে- নবী (সা) প্রতিটি ঈদে ডোরাকাটা পোশাক পরিধান করতেন। (বায়হাকি: ৬৩৬৩)। এটা দ্বারা প্রমাণিত হয় যে ঈদের দিনে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পোশাক পরা উচিত এই দিনটাকে বেশি প্রাধান্য দেয়ার কারণেই এমনটা করতেন এবং এর তাৎপর্য ছিলো বলেই নবী এইটা করতেন। এর এই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পোশাক মানে এই না যে নতুন পোশাক পরতে হবে। আপনার পুরোনো পোশাকটাও কিন্তু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হতে পারে। 

ঈদের দিনে সুগন্ধি ব্যবহার করা

রাসুল (সা) সবসময় সুগন্ধি ব্যবহার করতেন। বিশেষ করে ঈদের দিনে ও জুমার দিনে ছেলেদের সুগন্ধি ব্যবহার করা সুন্নত। নবী (সা) ঈদের দিনে ও জুমায় সবসময়ই সুগন্ধি ব্যবহার করতেন। মেয়েদের ক্ষেত্রে সুগন্ধি ব্যবহার করা হারাম রয়েছে ইসলামে। তাই শুধু এই চর্চাটা কেবল ছেলেরাই করবে। বিশেষ করে সুগন্ধি হিসেবে বিভিন্ন বডি স্প্রে ব্যবহার না করাই ভালো কারণ এতেক এ্যালকোহল থাকে। আতর ব্যবহার করা সুন্নত। অনেক আতর রয়েছে যাতে কোন প্রকার এ্যালকোহল থাকেনা।  

নামাজে যাওয়ার আগে কিছু খাওয়া 

ঈদের নামাজে যাওয়ার আগে কিছু খাওয়া সুন্নত। যদি সম্ভব হয় তাহলে মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া বেশি ভালো। বিশেষ করে নামাজে যাওয়ার আগে মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত। নবী (সা) ঈদের নামাজে যাওয়ার আগে কিছু খেয়ে নামাজে যেতেন। আনাস (রা) বলেন- নবীজী (সা) ঈদুল ফিতরের দিন সকালে কিছু খেজুর খেয়ে ঈদ-ঊল-ফিতরের নামাজে যেতেন।

ঈদের-দিনে-যে-কাজগুলো-করা-প্রয়োজন
আরেকটি হাদিসে এসেছে- এদিন তিনি বিজোড় সংখ্যক খেজুর খেতেন। ( বুখারী: ৯৫৩)

ঈদগাহে যাওয়ার সময় তাকবির পড়া

ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে ঈদগাহ ময়দানের দিকে যাওয়ার সময় নিম্নস্বরে তাকবির পাঠ করা সুন্নত। আর ঈদুল আজহার সময় উচ্চস্বরে তাকবির পাঠ করা সুন্নত। ইমাম জুহরি থেকে বর্ণিত- নবী (সা) ঈদুল ফিতরের দিন তাকবির পাঠ করতে করতে ঈদগাহের দিকে গমন করতেন। নামাজ পড়া পর্যন্ত এই তাকবির পড়তে থাকতেন। নামাজ শেষ হলে তাকবির পাঠ বন্ধ করে দিতেন। (সিলসিলাতুল আহাদিস আস- সহিহা: ১৭১)। অনেক হাদিসে এর ব্যতিক্রমও দেখা যায়। নামাজ পরেও নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত পড়া যায়। 

ঈদগাহে যাওয়া - আসার পথ পরিবর্তন করা

ঈদের নামাজ পড়তে আসা - যাওয়ার পথ পরিবর্তন করা সুন্নত। যে পথ দিয়ে নামাজ পড়তে ঈদগাহে যায় সেই পথ দিয়ে না এসে অন্য কোন পথ দিয়ে বাড়ি ফিরে আসা উচিত। এইটা আমকাদের প্রিয় নবী (সা) করতেন। আর এইটা এমন কোন কঠিন কাজ নয় তাই এই সুন্নত কাজটা করা উচিত সকলের। 

আরও পড়ুনঃ তারাবিহ নামাজ কতো রাকাত পড়বেন ৮ নাকি ২০

জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রা) বলেন- নবী (সা) ঈদের দিনে ঈদগাহে আসা ও যাওয়ার পথ পরিবর্তন করতেন। (বুখারী - ৯৮৬)

ঈদের নামাজ আদায়ে হেঁটে ঈদগাহে যাওয়া 

ঈদগাহে নামাজ আদায় করতে হেঁটে যাওয়া সুন্নত। হাঁটতে সক্ষম হওয়া সকল মুসলিম ব্যক্তির উচিত হেঁটে ঈদগাহে নামাজ আদায় করতে যাওয়া ও নামাজ শেষে হেঁটে ফিরে আসা। আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা) বলেন- রাসুল (সা) হেঁটে ঈদগাহে গমন করতেন এবং হেঁটে ঈদগাহে থেকে প্রত্যাগমন করতেন। (তিরমিজিঃ ১২৯৫) তাই সকল মুসলিম ব্যক্তির উচিত হেঁটে ঈদগাহে যাওয়া এবং আসা।

ঈদের নামাজে ঈদগাহে শিশুদেরকে সঙ্গে নেয়া

ঈদের দিনে শিশুদের সাথে করে ঈদগাহে নিয়ে যাওয়া উচিত। এতে শিশুদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি হয়। নবী করীম (সা)-ও শিশুদের নিয়ে ঈদগাহে যেতেন। আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা) থেকে বর্ণিত যে- রাসুল (সা) ঈদের দিনে ঈদগাহে যাওয়ার সময় ফজল ইবনে আব্বাস, জাফর, হাসান, হুসাইন, উসামা বিন জায়েদ, জায়েদ বিন হারিস, আইমান ইবনে উম্মু আইমান- কে সঙ্গে নিয়ে নিম্নস্বরে তাকবির পাঠ করতে করতে বের হতেন। অতঃপর তিনি কামারদের রাস্তা দিয়ে ঈদগাহে উপস্থিত হতেন এবং প্রত্যাবর্তনের সময় মুচিদের রাস্তা দিয়ে ঘরে আসতেন। (সুনানে কুবরা বায়হাকিঃ ৬৩৪৯)

ঈদের দিনে শুভেচ্ছা বিনিময় করা

ঈদের দিনে একে অপরকে শুভেচ্ছা বিনিময় করা সুন্নত। এই দিনে এক মুসলমান অন্য মুসলমানের সাথে সালাম প্রদান করে কোলাকুলি করার মাধ্যমে সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে এক হয়ে গিয়ে কুশল বিনিময় করে থাকেন। এই দিনে আমাদের ঈদ মোবারক বলে শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময় করা উচিত । জুবায়ের বিন নুফাইর (রা) বলেন- নবী (সা) ও সাহাবায়ে কেরামগণ ঈদের দিনে পরস্পর দেখা হলে "তাকাব্বালাল্লাহু মিন্ন ওয়ামিন কুম"; (تَقَبَّلَ اللَّهُ مِنَّا وَمِنْكُمْ), অর্থ: আল্লাহ তায়ালা আমার ও আপনার যাবতীয় ভালো কাজ ও আমল কবুল করুক। (ফাতহিল কাদির ২/৫১৭)

ঈদগাহে ঈদের খুতবা শোনা 

ঈদের দিনে খুব সকালে ঈদগাহে গিয়ে খুতবা শোনা সুন্নত। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সবাইকে দুই ঈদে এবং জুমার নামাজে খুতবা শোনার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই আমাদের সকলের উচিত খুব তাড়াতাড়ি ঈদের দিনে ঈদগাহে প্রবেশ করা এবং সকল মুসলিম একসাথে বসে খুতবা শোনা ও সেই অনুযায়ী মেনে চলা।

ঈদের দিনে কিছু বর্জনীয় কাজ

  1. রাসুল (সা) এর দেয়া নির্দেশনা ছাড়া কোনো বিদায়াত পুর্ণ কাজ বর্জন করতে হবে।
  2. ঈদের দিনে উচ্চস্বরে গান বাজনা করা , নাচানাচি করা, বাজি ফোটানো এসব বন্ধ করতে হবে।
  3. ঈদের দিনে কারো সাথে মনোমালিন্য রাখা উচিত নয়।
  4. ঈদের দিনে মেয়েদের অশালিন পোশাক পরিধান করা উচিত নয়।
  5. ঈদ একটি পবিত্র দিন। এই দিনে মুসলমানদের কোনো অশ্লীল কাজকর্ম বা কথাবার্তা থেকে বিরত থাকা উচিত।

ঈদের তাৎপর্য বা পটভূমি 

ঈদ মানে আনন্দ। ঈদ মানে পবিত্রতা। এই দিন বিশ্ব মুসলমানদের জন্য অনেক তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন। এই দিন সকল মুসলিম তাদের মধ্যেকার সকল ভেদাভেদ দূর করে ভুলে গিয়ে একসাথে নামাজে দাঁড়াই। নামাজ শেষে কুশল বিনিময়, কোলাকুলি ও একে অপরকে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এই দিনে এক মুসলমান অন্য মুসলমানের বাড়িতে যায়। অনেকে একসাথে খাওয়া-দাওয়া করে। 

ঈদের-দিনে-যে-কাজগুলো-করা-প্রয়োজন

ঈদ আমাদের পাপমুক্তির দিন। আল্লাহর নির্দেশে বিশ্বাস ও নিষ্ঠার সাথে রমজানের রোজা পালন শেষ করে এই দিন আসে। সেহেতু অবশ্যই এটি একটি পাপমুক্ত দিন। এই দিনে আমরা সকল কিছু ভুলে ধনী- গরিব একসাথে ঈদ কাটানো উচিত। নিজেদের সকল অহংকার, রাগ, হিংসা, ক্রোধ নিয়ন্ত্রনে রাখতে হবে। তাহলেই এই দিনে এবং সামনের সকল দিনগুলো হবে ভাতৃত্ব, সৌহার্দ্য, ঐক্য, সাম্য, সম্প্রীতি ও আনন্দের দিন।

শেষ কথা 

ঈদুল ফিতর আমাদের জন্য অনেক আনন্দ বয়ে নিয়ে আসে। এই দিনে গরিবরা বেশি খুশি হয়। কারণ, সেদিন তাদের সব ভেদাভেদ মুছে যায়। এই দিন যেসকল সুন্নতগুলো আছে সেগুলো আমাদের পালন করার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর আমাদের মাধ্যমে যেন কোনো বিদায়াত বা খারাপ কাজ না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। 

এই দিন যেন সকলে তাদের প্রাপ্য সম্মান ও মর্যাদা পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য বেশি বেশি দোয়া ও ইবাদত করতে হবে। এছাড়াও আমার পাশাপাশি আমার প্রতিবেশীরাও যেনো ভালো খাবার খেতে পায় সেই দিকগুলো লক্ষ্য রাখতে হবে। তাহলেই আমরা আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ করে মহা আনন্দের সাথে সবাই মিলে একসাথে ঈদ কাটাতে পারব। 

আরও পড়ুনঃ খেজুরের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

আশা করি আজকের পোস্ট আপনার মনের অনেকটাই পরিবর্তন নিয়ে আসবে। আসুন আমরা সকলেই এক হয়ে এই দিনটাকে উদযাপন করি। সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে অন্যের জন্য ভালোবাসা তৈরি করি। মানুষ মানুষের জন্য এই কথাটিকে স্মরণ করে আল্লাহুর খুশির জন্য সর্বদাই কাজ করে যায়। শুধু ঈদ নয়, প্রতিটা সময়ই যেনো আমরা এই ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রাখতে পারি। 

সেই আশা, আকাঙ্খা, প্রত্যাশা রেখে আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি আবার নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো ইনশাআল্লাহ। সেই পর্যন্ত সকলে সুস্থ্য ও সুন্দর থাকুন, ভালো থাকুন এই দোয়া রাখি এবং সেই সাথে আপনার এই ঈদ ভালো ভাবে আপনার পরিবার ও পরিজনদের সাখে কাটুক সেই দোয়া করি। আল্লাহাফেজ, আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ABM Creative IT'র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url