গরমে পাকা বেল খাওয়ার বিশেষ উপকারিতা

বেল একটি পুষ্টিকর ফল যা বহু স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর। এই বেল অনেক প্রকার আয়ুর্বেদিক ঔষুধ তৈরিতে এবং বিভিন্ন প্রকার ঔষুধি উপকরণে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই বেলে প্রধানত গরমের সময় শরবতে বেশি ব্যবহার করে থাকে। 

পাকা-বেল-খাওয়ার-উপকারিতা

এই বেল যেমন উপকারি তেমন খেতেও সু-স্বাদু। তবে এই বেল পাকলে সবচাইতে বেশি সুন্দর ও মিষ্টি জাতীয় একটি খাবার হিসেবে পরিচিত। এর প্রত্যেকটা অংশেই বিশেষ গুণে ভরপুর রয়েছে। নিম্নে এই বেল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। 

সূচিপত্রঃ গরমে পাকা বেল খাওয়ার বিশেষ উপকারিতা

গরমে পাকা বেল খাওয়ার বিশেষ উপকারিতা

গরমে পাকা বেল খাওয়ার বিশেষ উপকারিতা অনেক। বেল এমন একটি ফল যার মধ্যে বহুপ্রকার পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান আছে। পাকা বেলের শ্বাসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা পেটের আলসারের হাত থেকে রক্ষা করে। কোন আলসারের রুগী যদি সপ্তাহে বেশি দিন না তিন দিন করে খায় তাহলে ইন-শা-আল্লাহ তার আলসারের সমস্যা দূর হয়ে যাবে। 

আরও পড়ুনঃ লেবুর খোসা খেলে কি হয়

এছাড়াও কেউ যদি প্রতিদিন রাতে বেলের পাতা ভিজিয়ে রেখে সকালে খায় তাহলেও তার পেটের আলসারের সমস্যার উপশম ঘটে। তবে এই প্রক্রিয়াটি বেশ কিছুদিন নিয়মিত রাখতে হবে। পাকা বেলে আছে এন্টি মাইক্রোবায়াল উপাদান যা যক্ষা কমাতে সাহায্য করে থাকে। গরমকালীন সময় এই বেলের চাহিদা বেশি বৃদ্ধি পায়। আর এর মূল কারণ হলো গরমকালে অনেকেরই পেটের নানা রকম সমস্যা দেখা দেয় যার ফলে শরীরে অনেক দূর্বল অনুভূতি আসে। 

আর এইরকম হওয়ার কারণেই অনেকেই ব্লেন্ডারের মিক্স করা ঠান্ডা বেলের শরবত পান করে থাকে। আর এই শরবত শরীরের জন্য অনেক উপকারি হয়ে থাকে। শরীরকে তাৎক্ষণাৎ চাঙ্গা করে তোলে এবং কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে। শুধু তাই নয় শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধকারী জীবকে আরো শক্তিশালী করে তোলে যাতে করে কোন প্রকার রোগ ছড়ানো ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণু তার শরীরে জায়গা করতে না পারে।

বেলের পরিচয় এবং বেল সম্পর্কে কিছু কথা

বেলের পরিচয় এবং বেল সম্পর্কে কিছু কথা বলার আগে বলে নেওয়া ভালো বর্তমানে বাংলাদেশে দুই ধরনের বেল পাওয়া যায়। গ্রামবাংলায় যাদের নামকরণ করা হয়েছে কদ বেল এবং অন্যটির নামকরণ করা হয়ে ছাচি বেল। এই দুই প্রকারের বেলই অনেক জনপ্রিয়। সাধারণত যেইগুলা আকারে একটু ছোট দেখাই সেইগুলোকে কদ বেল বলা হয়। এইগুলো আকারে একটু ছোট হয় কিন্তু খেতে অনেক সু-স্বাদু। এই বেলের পাতা অনেক ছোট ছোট যার ফলে গাছে বেল ধরলে পাতার চেয়ে বেল নজরে পড়ে বেশি শুধু তাই নয় এই বেলের ফলন ও অনেক বেশি।  

অন্যদিকে ছাচি বেল আকারে অনেক বড় হয়ে থাকে। এর পাতাও অনেক বড় বড় যার ফলে গাছে বেল থাকলে সহজে দেখা যায়না। তবে অনেক সময় অনেক গাছে পাতা নাও থাকতে পারে। যেমন বসন্তকালের দিকে এই গাছের পাতা ঝরা শুরু করে ফলে গাছে শুধু বেল দেখা যায়। কদ বেলের তুলনায় এই বেল কম ধরে কিন্তু আকারে ওই বেলের থেকে অনেকগুণ বড় হয়ে থাকে। কদ বেল পাকলে গালো বর্ণ ধারণ করে কিন্তু ছাচি বেল পাকলে হালকা লাল বা হলুদ বর্ণ ধারণ করে। মূলত আমরা শরবত খেয়ে ছাচি বেলের। 

বেল খাওয়া সম্পর্কে মেডিকেল সাইন্স কি বলে

বেল খাওয়া সম্পর্কে মেডিকেল সাইন্স কি বলে সেই বিষয়ে জানার জন্য একটি গবেষণাগারের ডাক্তারের সাথে কথা বলেছিলাম একাধারে তিনি একজন পুষ্টিবিদ। তিনি আমাদেরকে বেল সম্পর্কে কিছু তথ্য শেয়ার করেন এবং এর সম্পর্কে অনেক পজেটিভ ধারণা দেন। তিনি বলেন বেল একটি পুষ্টিকর ফল। যাতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেড, প্রোটিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম ইত্যাদি পুষ্টির সংমিশ্রণ আছে। 

তারমতে, বেল এমন একটি পুষ্টিকর খাবার যার মধ্যে বেশ কয়েক রকম ভিটামিন আছে। আর এইরকম খাবার শরীরের জন্য অনেক উপকারি এবং বিভিন্ন ভাবে শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে সহায়তা করে থাকে। বেলের শরবত বা পাকা বেল খালি মুখে খেলেই যে এর উপকার পাওয়া যায় এমনটি নয়। এই বেল কাঁচা থাকতেও যদি কেউ শুকিয়ে গুড়া করে ভিজিয়ে খায় সেখানেও অনেক উপকার আছে িএবং অনেক রোগের মহাঔষুধ হিসেবে কাজ করে থাকে। 

বেল মানবদেহে কি রকম ভাবে কাজ বা সহায়তা করে

বেল মানবদেহে কি রকম ভাবে কাজ বা সহায়তা করে সেইটা বিস্তারিত আলোচনা করতে হলে প্রথমেই বেলের উপকারিতা ও ব্যবহার বিধি সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত হওয়া প্রয়োজন যদিও উপরে এই বিষয়ে সাম্যক ধারণা দেওয়া হয়েছে। এই বেল খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় আর এর প্রধান যেই কারণ সেইটা হচ্ছে বেলে রয়েছে ফেনোলিক কম্পাউন্ড যা এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে শরীরে কাজ করে থাকে। 

আরও পড়ুনঃ কিভাবে ঘরে বসেই মেয়েরা ইনকাম করবেন

কেউ যদি কাঁচা বেল সেদ্ধ করে শরবত তৈরি করে খায় তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যায়। মূলত বেলের ফােইবার খাবারকে দ্রুত হজম করতে পারে যার ফলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং পেটকে রোগমুক্ত রাখে। এছাড়াও বেল খেলে শরীরের ফ্রি-রেডিকেল দূর করে দেয় যার ফলে দেহে বা শরীরে বার্ধ ক্যের ছাপ আসতে দেয়না। পেটের আলসার দূর করতে এই বেলের কোন তুলনা হয়না। সেই সাথে যদি কারো পাইলস থাকে সেইগুলো সমস্যাকেও বেল নিরাময় করতে সক্ষমতার ভূমিকা রাখে। 

অনেকেরই ডায়াবেটিকস বা উচ্চ রক্তচাপ আছে এবং রক্ত দূষণের কারণে শরীরের বিভিন্ন চুলকানি থেকে শুরু করে এলার্জীর দেখা দিয়ে থাকে তাদের জন্য এই বেলের শরবত প্রচন্ড লেভেলের উপকারী হিসেবে কাজ করে থাকে। পাকা বেলে রয়েছে মেথানল নামক একটি উপাদান যার কারণে রক্তে সুগারের মাত্রা সর্বদাই নিয়ন্ত্রিত রাখে সেই সাথে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করে থাকে এবং রক্তকে পরিষ্কার ও শুদ্ধ রাখতে বিশেষ ভাবে ভূমিকা রাখে। 

বেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যার ফলে পাকা বেল খেলে স্কার্ভি  নামক রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। এই স্কার্ভি নামক রোগটি মূলত ভিটামিন সি এর অভাবেই হয়ে থাকে। এছাড়াও বেলের অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান যক্ষা নিরাময়ে অনেক কার্যকরি হয়ে থাকে। যদি কারো পাইলস থাকে তাহলে সেই পাইলস নিরাময়েও এই পাকা বেলের কোন জুড়ি নেই। ম্যালেরিয়াতে এই কাঁচা বেলের শরবত অনেকটাই উপকারি। এক কথায় বলা যায় পুরো শরীরকে ঠিক রাখতে এবং কাজের ক্লান্তি দূর করতে এই বেলের ভূমিকা অপরিসীম। 

বেল-মানবদেহে-কি-রকম-ভাবে-কাজ-বা-সহায়তা-করে

বেলের প্রধান উপাদান ও ব্যবহার

বেলের প্রধান উপাদান ও ব্যবহার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো এই প্যারাতে। তাই মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য অনুরোধ করছি। বেল আসলে একটি ফল। যা খেলে শরীরের বিভিন্ন রকম উপকারি উপাদান বা ভিটামিন আছে যেইগুলো শরীরকে সতেজ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে থাকে। বেলে শাঁসে রয়েছে জল, আমিষ, স্নেহপদার্থ , শর্করা, ক্যারোটিন, থায়ামিন, রিবোফ্ল্যাবিন, নিয়াসিন, এসকর্বিক এসিড, টারটারিক এসিড। এইসব উপাদানই বেলের মধ্যে থাকে আর যার ফলে বেলের শক্তিক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। 

এছাড়াও বেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেড, প্রোটিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম ইত্যাদি পুষ্টির সংমিশ্রণ আছে। এর এইবব কারণেই বেলের শরবত, কাঁচা বেল, পাকা বেল খেলে শরীরের বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আবার বলা যায় সকল রোগ প্রতিরোধকারী জীবকে সতেজ রাখতে সহায়তা করে থাকে। 

এইসব বেল সাধারণত কেউ কাঁচা বেল শুকিয়ে গুড়া বানিয়ে সেইটা ভিজাই রেখে খাই আবার কেউ শরবত বানিয়ে খেয়ে থাকে। অনেকে পাকা বেল কোন কিছুর মিশ্রণ ছাড়াই খালি খালি খেয়ে ফেলে। বিভিন্ন ব্যক্তি বিভিন্ন ভাবে বেল খেয়ে থাকে। যার জন্য যেই পদ্ধতি সহজ হয় সেইটাই প্রয়োগ করে থাকে। কারণ বেল একটি আঠালো জাতীয় খাবার যার ফলে সবাই এইটাকে স্বাভাবিক ভাবে খেতে পারেনা। অনেকের বমিও হতে পারে। 

পুষ্টিকর খাবার হিসেবে বেল কেমন

পুষ্টিকর খাবার হিসেবে বেল কেমন সেইটা আর বলার কোন অবকাশ রাখেনা। আশা করি উপরের আলোচনা ও ব্যাখ্যা থেকে আপনি এতটুকু বুঝতে পেরেছেন। আপনি যদি উপরের সবগুলো আলোচনা ভালো ভাবে পড়ে কর্ণপাত করে থাকেন তাহলে আশা করি আপনি এই বেল সর্ম্পকে সম্পূর্ণ ধারণা পেয়ে গেছেন ইতিমধ্যেই। তারপরেও সাম্যক আলোচনা না করলে আপনার মধ্যে হয়তো অসম্পূর্ণ মনোভাব থেকেই যাবে। 

পুষ্টিকর খাবার হিসেবে বেলের কোন বিকল্প নেই। এই এক ফলের মধ্যে এতো কিছু রয়েছে যে শরীরের অনেকগুলো চাহিদা বেল একাই পূরণ করতে সক্ষম। হতে পারে বেল আপনি শরবত বানাই খান বাসাই বা পাকলে খান কিন্তু পুষ্টি উপকরণ কিন্তু একই। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই বেল আলাদা ভাবে কাজ করে থাকে। যেমনটি কাঁচা বেলের ক্ষেত্রে যেই রকম পুষ্টি উপাদান কাজ করবে তা কিন্তু পাকা বেলের ক্ষেত্রে কিছুটা ভিন্ন। পুষ্টি উপাদান একই থাকলেও কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। তবে এক কথায় বলা যায় বেল এমন একটি পুষ্টিকর ফল যার কোন বিকল্প নেই।

পুষ্টিকর-খাবার-হিসেবে-বেল-কেমন

বেলের প্রাপ্যতা এবং স্থান

বেলের প্রাপ্যতা এবং স্থান নিয়ে আলোচনা করতে গেলেই প্রথমেই আসি এই বেলের উৎপত্তিস্থল কোথায় সেখান থেকে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণাকেন্দ্র, চাঁপাইনবাবগঞ্জ এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী বেলের উৎপত্তিস্ল হিসেবে ভারতকে ধরা হয়ে থাকে। এই বেল এশিয়ার বিভিন্ন দেশ যেমন- বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, পাকিস্থান, মায়ানমার, ভিয়েতনাম এবং থাইল্যান্ডে বেশি জন্মাতে দেখা যায়। 

বেল সাধারণত সারা বছরই কমবেশি পাওয়া যায়। এখন উন্নত জাতের উদ্ভভ হয়েছে যার ফলে বছরে দুই থেকে তিনবার বেল আসে। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে বছরে একবারই বেল দেখা যায়। তবে বেশিরভাগই ক্ষেত্রেই বছরে দুইবার বেল আসে। গরমকালে যেই বেল পাওয়া যায় সেই বেলের স্বাদ টা অন্য মৌসুমের থেকে এককটু বেশি স্বাদযুক্ত। আর এইসময় বেলের চাহিদাও ভালো থাকে। গরমকালে মানুষ শরবতের জন্য বেশি বেল খেয়ে থাকে যার কারণে এই সময়টাতেই বেশি বেল পাওয়া যায়। বেলের সাধারণ বাগান খুব কম দেখা যায় বাড়ির উঠনেই বেশি চাষাবাদ হয়ে থাকে। 

বেল কত প্রকার ও কি কি

বেল কত প্রকার ও কি কি সেইটা আগেই উপরে উল্লেখ করেছি। বর্তমানে বাংলাদেশে দুই প্রকারের বেল পাওয়া যায়। এই দুই প্রকারের মধ্যেই বিভিন্ন জাত থাকতে পারে। বর্তমানে কৃষি উদ্ভাবন যেই পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে তাছাড়া আবার কলম চাষ পদ্ধতির কারণে আরো বেশি জাতের উদ্ভব হচ্ছে যার কারণে সঠিক ভাবে বেলের জাত উল্লেখ করা অনেক কষ্টসাধ্য একটা বিষয়। তবে বাংলাদেশ থেকে শুরু করে এশিয়ার মধ্যে সাধারণ দুই ধরনের বেল দেখা যায়। যেইটাকে আমরা কদ বেল এবং গুটি বেল বা ছাচি বেল বলে থাকি। 


এই বেলদুটির মধ্যে পার্থক্য বিদ্যমান রয়েছে। কদ বেল সাধারণত আকারে ছোট হয় এবং পাকলে ভেতরে কালো বর্ণ ধারণ করে থাকে অন্য দিকে গুটি বেল বা ছাচি বেল পাকলে হলুদ বা লালচে বর্ণ ধারণ করে। কিন্তু কদ বেলের থেকে এই বেল আকারে অনেক বড় হয়ে থাকে। বলা যায় কদ বেলের প্রায় ৩-৪ গুণ বেশি বড় হয়ে থাকে ছাচি বেল। আর বেল মূলত আমরা বিভিন্ন শরবতের জন্য ব্যবহার করে থাকি। কদ বেল মূলত ভর্তা বানিয়ে খেয়ে থাকি। 

ইতি বা শেষ কথা

পাকা বেল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে উপরে সম্পূর্ণ আলোচনা করা হয়েছে। আমি যতটুকু জানি এবং রিসার্চ করে যেই তথ্যগুলো পেয়েছে সেই তথ্যগুলোই আজকে আপাদের জন্য উপস্থাপন করলাম। তবে সতর্কতামূলক কিছু কথা বলতে চায়, এই বেল কেউ অতিরিক্ত খাবেন না। এতে করে আপনার পেটের নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং আপনি মোটা হয়ে যেতেও পারেন। যার কারণে সবসময় পরিমাণ মতো খাওয়ার চেষ্টা করবেন না। উপকারি বলে যদি বেশি খান তাহলে উল্টো কাজ করবে আপনার শরীরে। 

পরিশেষে বলতে চায়, আমার এই পোস্ট এর মধ্যে যদি কোন ভুল তথ্য থাকে বা আপনাদের দৃষ্টিগোচর হয় তাহলে কমেন্টের মাধ্যমে সুন্দরভাবে তুলে ধরার জন্য অনুরোধ করছি। আমার ভুল ধরিয়ে দিলে আমি সেইটাকে শুধরাতে পারবো এবং আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবো। অনেক তথ্যগত কারণে আজকের পোস্টটি একটু বেশি বড় হয়ে গেছে কষ্ট করে এতো বড় পোস্ট পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই সেই সাথে ভালো থাকবেন এবং সুস্থ্য থাকবেন এই প্রত্যাশা রেখে আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি, আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ABM Creative IT'র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url