হঠাৎ ওজন বাড়ার কিছু প্রধান কারণ
হঠাৎ ওজন বাড়ার কিছু প্রধান কারণ সম্পর্কে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করতে চলেছি। যে খারাপ অভ্যাসগুলো দ্রুত ওজন বাড়ায় এইরকম অভ্যাসগুলো আমাদের সকলেরই বাদ দেওয়া প্রয়োজন। অনেকেই অনাকাঙ্খিত ওজন কমানোর জন্য প্রতিনিয়তই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অনেকে সময়ই দেখা যায় খাবার নিয়ন্ত্রণ এবং ব্যায়াম সহ অনেক নিয়ম মানার পরেও ওজন কমে না।

পোস্ট সূচিপত্রঃ হঠাৎ ওজন বাড়ার কিছু প্রধান কারণ-যে খারাপ অভ্যাসগুলো দ্রুত ওজন বাড়ায়
- হঠাৎ ওজন বাড়ার কিছু প্রধান কারণ-যে খারাপ অভ্যাসগুলো দ্রুত ওজন বাড়ায়
- কম করে পানি পান করা
- খাদ্যের পরিমাণ হিসেব না করে খাওয়া
- কোনো এক বেলার খাবার বাদ দেওয়া
- প্রক্রিয়াজাত খাবার বেশি বেশি খাওয়া
- অতিরিক্ত মানসিক চাপ থাকলে
- মিষ্টি বা চিনিযুক্ত খাবারের প্রতি আসক্তি
- অনিয়মিত ঘুমের প্রভাবে মেদ বৃদ্ধি
- প্রক্রিয়াজাত পানীয় ও এ্যালকোহল পান
- অলস জীবনযাত্রা বা একঘেয়ামী দূর করা
- রাতে সময় মতো না খেয়ে দেরি করে খাওয়া
- মন্তব্য
হঠাৎ ওজন বাড়ার কিছু প্রধান কারণ
- কম করে পানি পান করা
- খাদ্যের পরিমাণ হিসেব না করে খাওয়া
- কোনো এক বেলার খাবার বাদ দেওয়া
- প্রক্রিয়াজাত খাবার বেশি বেশি খাওয়া
- অতিরিক্ত মানসিক চাপ থাকলে
- মিষ্টি বা চিনিযুক্ত খাবারের প্রতি আসক্তি
- অনিয়মিত ঘুমের প্রভাবে মেদ বৃদ্ধি
- প্রক্রিয়াজাত পানীয় ও এ্যালকোহল পান
- অতিরিক্ত হারে চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ
- অলস জীবনযাত্রা বা একঘেয়ামী দূর করা
- রাতে সময় মতো না খেয়ে দেরি করে খাওয়া
কম করে পানি পান করা
আমরা হয়তো সবাই জানি যে, বিশুদ্ধ পানির অপর নাম জীবন। তবে সেই পানিই আপনার জীবন কেড়ে নিতে পারেন জানেন কি? আসলে আপনি যদি কম পানি পান করেন তাহলে আপনার জীবন আস্তে আস্তে বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে। দেহের প্রয়োজন অনুযায়ী যদি পানি পান না করেন তাহলে ওজন না কমে বৃদ্ধি পাবে। দৈনিক ১০ থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করুণ। কারণ পানি দেহের বিপাকক্রিয়ার গতিই শুধু বৃদ্ধি করে না, সেই সাথে এটা পাকস্থলীতে খাবার ধারণের জায়গাও কমিয়ে দেয়।
আরও পড়ুনঃ দৈহিক শক্তি বৃদ্ধি করে যে সব পুষ্টিকর খাবার
খাদ্যের পরিমাণ হিসেব না করে খাওয়া
অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যভ্যাস ওজন না কমার অন্যতম একটি কারণ। অনেকেই আছে যারা নিজের খাদ্য গ্রহণের ইচ্ছাকে নিয়ন্ত্রিণ করতে পারেন না। অর্থাৎ তারা প্রয়োজনের অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেন। এই খারাপ অভ্যাসটি থাকলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা কোন ভাবেই সম্ভব না। আমাদের অনেকেরই এইরকম বাজে অভ্যাস আছে যার প্রতিফলন ঘটে পছন্দমতো কোন খাবার সামনে পেয়ে গেলে আর কোন দিকে দেখিনা। বরং যতক্ষণ পর্যন্ত ওই খাবার আমার অরুচির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে ততক্ষণ খাইতেই থাকি।আমাদের পেটের বা পাকস্থলীতে আর কোন জায়গা রাখিনা।
কোনো এক বেলার খাবার বাদ দেওয়া
প্রক্রিয়াজাত খাবার বেশি বেশি খাওয়া
বর্তমানে আমাদের কর্মব্যস্ত জীবনকে সহজ করতে প্রক্রিয়াজাত করা খাবারের প্রতি আমাদের আগ্রহ অনেক কমে গেছে। প্রক্রিয়াজাত করা খাবার কোন ভাবেই স্বাস্থ্যকর নয়। এসব খাবার দীর্ঘদিন সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া এসব খাবারগুলোর পুষ্টিগুণ খুবই কম এবং খুব দ্রুত দেহের ওজন বৃদ্ধি করে। আমরা বিভিন্ন স্টোরের খাবার অনেক সময় খেয়ে থাকি আবার কোন কোন সময় নিজেরাই এইরকম পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করে থাকি। বাস্তবধর্মী উদাহরণ হিসেবে রেফ্রিজারেটরকে ধরে নিতে পারি।
অতিরিক্ত মানসিক চাপ থাকলে
প্রত্যেকটি মানুষেরই এই সমস্যা থাকতে পারে তবে সেইটা যতটা সম্ভব কমিয়ে আনতে হবে যতটা নিজেকে দূরে রাখা যায় এই মানসিক চাপ থেকে ততটাই শরীরের জন্য এবং নিজের জন্য ভালো। হয়তো ভাবতেই পারেন যে সমস্যায় পড়লে মানসিক চাপ এমনিতেই চলে আসে চিন্তা থেকে। আমিও সেইটার সাথে সহমত পোষণ করছি তবে আপনি সব কিছুই জানেন এবং বুঝেন তাই আপনি নিজেকে রক্ষা করার জন্য নিজেকে যতটা সম্ভব সুরক্ষিত রাখবেন এটাই আপনার আমাদের সকলের জন্য ভালো হবে।
মিষ্টি বা চিনিযুক্ত খাবারের প্রতি আসক্তি
প্রত্যেকের শরীরেই মিষ্টির প্রয়োজনীয়তা আছে কেননা এই মিষ্টি জাতীয় খাবার থেকে সুগার লেভেল ঠিক থাকে। আবার বেশি পরিমাণ হয়ে গেলে সুগার লেভেল বৃদ্ধি পায় কম হলেও সুগার লেভেল কমে যায় যার কারণে আপনার মৃত্যুও ঘটতে পারে। তাই একেবারে বন্ধ না করে পরিমাণ মতো খাবেন। অনেকেই হয়তো খুজে পাবেন মিষ্টি খায়না এদের মধ্যেকার অর্ধেকের বেশি লক্ষ্য করবেন তারা তাদের শরীরের সুগার লেভেল ঠিখ রাখতে বা ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই মিষ্টি খাওয়া বাদ দিয়েছে বা কম খায়।
অনিয়মিত ঘুমের প্রভাবে মেদ বৃদ্ধি
আরও পড়ুনঃ ওজন কমানোর সর্বোত্তম কয়েকটি উপায়
খেয়াল করে দেখবেন, যদি সঠিক সময় না ঘুমিয়ে আপনি অনেতক রাত জেগে থাকেন আর অন্য সময় পরিমাণের চেয়েও বেশি ঘুমান তবুও আপনার ঘুমের ঘাটতি পূরণ হবেনা। অথচ আপনি সময়মতো ঘুমিয়ে দেখবেন আর ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানোর পরে উঠে যাবেন দেখবেন আপনার শরীরে ঘুমের ঘাটতি থাকবেনা। তাই সময়মতো নিয়ম অনুসারে ঘুমানো প্রয়োজন এতে করে শুধু মেদ বৃদ্ধি থেকে নয় আপনার মৃত্যুঝুঁকি থেকেও সরে আসতে পারবেন।
প্রক্রিয়াজাত পানীয় ও এ্যালকোহল পান
এইসব এ্যালকোহলে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট থাকে যা নিয়মিত কেউ পান করলে খুব দ্রুতই এর ফলাফল দৃশ্যমান হতে থাকে। আমরা আগেই জেনেছি যে প্রক্রিয়াজাত কোন কিছুই শরীরের জন্য ভালো প্রভাব ফেলেনা বরং খারাপ প্রভাব ফেলে। তেমনই প্রক্রিয়াজাত পানীয় শরীরের জন্য ক্ষতিকারক হিসেবে কাজ করে থাকে। তাই যতটা সম্ভব এইসব প্রক্রিয়াজত পানী এবং এ্যালকোহল পান থেকে দূরে সরে আসাই ভালো। এতে করে আপনার শরীর অনেকটাই ঝুঁকিমুক্ত হতে পারবে।
অতিরিক্ত হারে চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ
প্রাণীজ চর্বি জাতীয় খাবার থেকে নিজেকে যতটা সম্ভব দূরে রাখতে হবে কিন্তু ফলজ চর্বি খাবার আপনি যত ইচ্ছা খেতে পারেন। কারণ, এতে করে আপনার অপকারের কোন ভয় নাই। ফলজ চর্বি মানব দেহের জন্য অনেক উপকারি হয়ে থাকে। যেইটা প্রাণীজ হলে আপনাকে ধ্বংস করে দিতে পারে। তাই এইটা বলাই চলে যে সকল চর্বি খারাপ না, কিছু চর্বি শরীরকে ঠিক রাখতেও কাজ করে থাকে।
অলস জীবনযাত্রা বা একঘেয়ামী দূর করা
অলস জীবনযাপন করলে শুধু যে মোটা হবেন ব্যাপারটা কি তাই? না, আসলে আপনার প্রত্যেকটা অঙ্গই কাজ করার সামার্থ আস্তে আস্তে কমিয়ে ফেলবে। একটা সময় আর কাজ করতে পারবে না। শরীরে বিভিন্ন রকমের রোগ দেখা দিবে যা আপনার শরীরকে আরো চেপে বসবে। এতে করে আপনি চারিদিক থেকে বন্দি হয়ে আসবেন। সকল রোগ আপনাকে ঘিরে ধরবে এবং আপনার কার্য কারিতা বিলুপ্ত হতে থাকবে।
রাতে সময় মতো না খেয়ে দেরি করে খাওয়া
তারা অনেক রাত হলে খাবার খেয়ে থাকেন আর খাওয়ার পর পরই ঘুমাতে চলে যান। এতে করে খাবার হজম হবার সময় পায়না। যা দেহে ফ্যাট হিসেবে জমা হয়। বাস্তবিকভাবে মেদ বা চর্বি কমানো একটি জটিল প্রক্রিয়া। এর জন্য দরকার ব্যাপক ইচ্ছাশক্তি ও সচেতনতা। আর তাই উপরোক্ত বিষয়গুলো মনে রাখা এবং মেনে চলা খুবই জরুরী।
মন্তব্য
আরও পড়ুনঃ অ্যালোভেরা গাছের উপকারিতা ও অপকারিতা
হঠাৎ ওজন বাড়ার কিছু প্রধান কারণ এই শিরোনামের আলোকে আজকের এই পোস্টের মধ্যে কোন প্রকার ভুল পরিলক্ষিত হলে অবশ্যই তা কমেন্টে এর মাধ্যমে জানাবেন। এতে করে আমার সংশোধনের কিছু থাকলে তা সঠিক ভাবে আপনাদের সামনে তুলে ধরতে পারবো। পরিশেষে সকলের সুস্থ্যতা কামনা করে আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবারও অন্য কোন ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন। আসসালামু আলাইকুম।
ABM Creative IT'র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url