হঠাৎ ওজন বাড়ার কিছু প্রধান কারণ

হঠাৎ ওজন বাড়ার কিছু প্রধান কারণ সম্পর্কে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করতে চলেছি। যে খারাপ অভ্যাসগুলো দ্রুত ওজন বাড়ায় এইরকম অভ্যাসগুলো আমাদের সকলেরই বাদ দেওয়া প্রয়োজন। অনেকেই অনাকাঙ্খিত ওজন কমানোর জন্য প্রতিনিয়তই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অনেকে সময়ই দেখা যায় খাবার নিয়ন্ত্রণ এবং ব্যায়াম সহ অনেক নিয়ম মানার পরেও ওজন কমে না।

হঠাৎ-ওজন-বাড়ার-কিছু-প্রধান-কারণ

আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে কি ভাবে একজন মানুষের ওজন বৃদ্ধি পায় সেই সম্পর্কে পুরোটা তুলে ধরার চেষ্টা করবো। আশা করি আজকের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়বেন। চলুন তাহলে আজকে যে খারাপ অভ্যাসগুলো দ্রুত ওজন বাড়ায় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।

পোস্ট সূচিপত্রঃ হঠাৎ ওজন বাড়ার কিছু প্রধান কারণ-যে খারাপ অভ্যাসগুলো দ্রুত ওজন বাড়ায়

হঠাৎ ওজন বাড়ার কিছু প্রধান কারণ

বর্তমানে হঠাৎ ওজন বাড়ার কিছু প্রধান কারণ আমাদের সামনে দৃশ্যমান হতে দেখা যায়। আমরা অনেকেই আমাদের কিছু খারাপ অভ্যাসের কারণে শরীরের বৃদ্ধি বুঝতে পারি যার ফলে চিন্তিত হয়ে যায় আর বুঝে উঠতে পারিনা যে আসলে আমাদের কোন দোষের কারণে এই রকম ওজন বৃদ্ধি বা মেদ বৃদ্ধি পাচ্ছে! আসলে এর জন্য আমাদের কিছু খাবারের  অভ্যাস এবং তার সাথে লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করতে হবে। এতে করে আমাদের ওজন বৃদ্ধিকে আমরা কন্ট্রোল করতে পারবো। আসুন তাহলে হঠাৎ ওজন বাড়ার কিছু প্রধান কারণ সমূহ জেনে আসি। 
    • কম করে পানি পান করা
    • খাদ্যের পরিমাণ হিসেব না করে খাওয়া
    • কোনো এক বেলার খাবার বাদ দেওয়া
    • প্রক্রিয়াজাত খাবার বেশি বেশি খাওয়া
    • অতিরিক্ত মানসিক চাপ থাকলে
    • মিষ্টি বা চিনিযুক্ত খাবারের প্রতি আসক্তি
    • অনিয়মিত ঘুমের প্রভাবে মেদ বৃদ্ধি
    • প্রক্রিয়াজাত পানীয় ও এ্যালকোহল পান
    • অতিরিক্ত হারে চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ
    • অলস জীবনযাত্রা বা একঘেয়ামী দূর করা
    • রাতে সময় মতো না খেয়ে দেরি করে খাওয়া
চলুন তাহলে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত জেনে আসি।
 যে-খারাপ-অভ্যাসগুলো-দ্রুত-ওজন-বাড়ায়

কম করে পানি পান করা

আমরা হয়তো সবাই জানি যে, বিশুদ্ধ পানির অপর নাম জীবন। তবে সেই পানিই আপনার জীবন কেড়ে নিতে পারেন জানেন কি? আসলে আপনি যদি কম পানি পান করেন তাহলে আপনার জীবন আস্তে আস্তে বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে। দেহের প্রয়োজন অনুযায়ী যদি পানি পান না করেন তাহলে ওজন না কমে বৃদ্ধি পাবে। দৈনিক ১০ থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করুণ। কারণ পানি দেহের বিপাকক্রিয়ার গতিই শুধু বৃদ্ধি করে না, সেই সাথে এটা পাকস্থলীতে খাবার ধারণের জায়গাও কমিয়ে দেয়। 

আরও পড়ুনঃ দৈহিক শক্তি বৃদ্ধি করে যে সব পুষ্টিকর খাবার

যার ফলে কখবার খাওয়া কম হয় এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। আর এই কারণেই আমাদের বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। আর এইভাবে পানি পান করলে আপনার শরীর অনেকটাই সুস্থ্য এবং সুন্দর থাকবে। শরীরে পানির পরিমাণ ঠিক থাকলে আপনার শরীরে ক্লান্তি কম আসবে। আর যদি পানি শূন্যতা দেখা দেয় তাহলে আপনার শরীরে অনেক ক্লান্তি চলে আসবে। এমনকি এই পানি শূন্যতা তো মৃত্যুর কারণ হিসেবে অনেক বড় একটি ঝুঁকির নাম। তবে মাত্রাতিরিক্ত পানি আবার পান করা যাবেনা। এতে করে আবার উল্টো কাজ করবে। 

খাদ্যের পরিমাণ হিসেব না করে খাওয়া

অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যভ্যাস ওজন না কমার অন্যতম একটি কারণ। অনেকেই আছে যারা নিজের খাদ্য গ্রহণের ইচ্ছাকে নিয়ন্ত্রিণ করতে পারেন না। অর্থাৎ তারা প্রয়োজনের অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেন। এই খারাপ অভ্যাসটি থাকলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা কোন ভাবেই সম্ভব না। আমাদের অনেকেরই এইরকম বাজে অভ্যাস আছে যার প্রতিফলন ঘটে পছন্দমতো কোন খাবার সামনে পেয়ে গেলে আর কোন দিকে দেখিনা। বরং যতক্ষণ পর্যন্ত ওই খাবার আমার অরুচির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে ততক্ষণ খাইতেই থাকি।আমাদের পেটের বা পাকস্থলীতে আর কোন জায়গা রাখিনা। 

যারা এইভাবে খেয়ে থাকেন তারা হয়তো খেয়াল করেছেন খাওয়ার পরে আপনার কি রকম অসস্তিকর পরিস্থিতি হয় যা আপনাকে শান্তি মতো কাজকর্ম করা থেকে বাধা প্রদান করে থাকে। এইরকম করে খেলে আপনার শরীরের অনেক রকমক সমস্যা হতে পারে যেইটা এখন না বুঝতে পারলেও একটা সময় ঠিকই বুঝতে পারবেন কিন্তু তখন অনেক দেরি হয়ে যাবে প্রতিরোধ করা ছাড়া আর কিছু করার থাকবেনা। চাইলেও আপনি প্রতিকার করতে পারবেন না। আবার অনেকেই খাওয়ার পরেই শুয়ে পড়েন এটাও ঠিক নয়। 

কোনো এক বেলার খাবার বাদ দেওয়া

কোন এক বেলার খাবার বাদ দেওয়া মানে আপনি নিজেই নিজের ক্ষতি ডেকে আনলেন। অনেকেই খুব তাড়াতাড়ি ওজন কমানোর জন্য কোন এক বেলার খাবার বাদ দিয়ে দেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হয়তো রাতের খাবারটাই বেশি বাদ দিয়ে থাকেন অনেকেই। এটা কোন ভাবেই আপনার শরীরের জন্য ভালো নয়। কারণ এর ফলে রক্তের শর্করার মাত্রা হঠাৎ কমে যায় এবং স্বাস্থ্য হানি ঘটে। পরে উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়ার আগ্রহ বেড়ে যায় যা ওজন বাড়িয়ে দেয়। 

এছাড়াও আপনার এইরকম অভ্যাসের ফলে পেটের নানারকম ব্যাধি হতে পারে। যেমন গ্যাসট্রিকের সমস্যা হতে পারে। আর এই গ্যাসট্রিক হচ্ছে পেটের সকল সমস্যার মূল ও প্রধান কারণ। যার থেকেই সকল পেটের সেমস্যার শুরু হয়। আলসারের মতো সমস্যাও হতে পারে এবং দেখা যায় অনেক সময় পেটে অতিরিক্ত গ্যাসের সমস্যার কারণে আলসার থেকে শুরু কিডনিতে সিস্ট দেখা দিতে পারে যা আপনার মুত্যু ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তােই এইরকম ভুল ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। 

প্রক্রিয়াজাত খাবার বেশি বেশি খাওয়া

বর্তমানে আমাদের কর্মব্যস্ত জীবনকে সহজ করতে প্রক্রিয়াজাত করা খাবারের প্রতি আমাদের আগ্রহ অনেক কমে গেছে। প্রক্রিয়াজাত করা খাবার কোন ভাবেই স্বাস্থ্যকর নয়। এসব খাবার দীর্ঘদিন সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া এসব খাবারগুলোর পুষ্টিগুণ খুবই কম এবং খুব দ্রুত দেহের ওজন বৃদ্ধি করে। আমরা বিভিন্ন স্টোরের খাবার অনেক সময় খেয়ে থাকি আবার কোন কোন সময় নিজেরাই এইরকম পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করে থাকি। বাস্তবধর্মী উদাহরণ হিসেবে রেফ্রিজারেটরকে ধরে নিতে পারি। 

বর্তমানে প্রায় বাসাতেই এই ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়ে থাকে খাবার প্রক্রিয়াজাতকরণ করার জন্য। আসলে কি খাবার ভালো থাকে এই পদ্ধতিতে? আপনি বলবেন অবশ্যিই ভালো থাকে। আমিও সেটাই বলবো যে ভালো থেকে তবে সেইটা বাহ্যিক দিক বিবেচনার ক্ষেত্রে। আপনি যখন পুষ্টিগুণ বা গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন তখন এই পদ্ধতি একেবারে অচল হয়ে যাবে। কারণ এতে করে হয়তো খাবারটা বেশিদিন ধরে সংরক্ষণ করে রাখা যায় কিন্তু গুণগত মান ঠিক রাখা যায়না।  

অতিরিক্ত মানসিক চাপ থাকলে

বর্তমান সময়ে মানসিক চাপ নাই এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যাবে। মানসিক চাপ থাকলে ওজন বাড়ার ক্ষেত্রে একে নীরব ঘাতকও বলা যায়। মানসিক চাপে থাকলে আমাদের দেহে করটিসল হরমোন বেশি নির্গত হয়। এটি ওজন বাড়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। এছাড়া এসময় আমাদেরকে চিনি যুক্ত খাবারগুলো বেশি আকর্ষণ করে যা মেদ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। 

প্রত্যেকটি মানুষেরই এই সমস্যা থাকতে পারে তবে সেইটা যতটা সম্ভব কমিয়ে আনতে হবে যতটা নিজেকে দূরে রাখা যায় এই মানসিক চাপ থেকে ততটাই শরীরের জন্য এবং নিজের জন্য ভালো। হয়তো ভাবতেই পারেন যে সমস্যায় পড়লে মানসিক চাপ এমনিতেই চলে আসে চিন্তা থেকে। আমিও সেইটার সাথে সহমত পোষণ করছি তবে আপনি সব কিছুই জানেন এবং বুঝেন তাই আপনি নিজেকে রক্ষা করার জন্য নিজেকে যতটা সম্ভব সুরক্ষিত রাখবেন এটাই আপনার আমাদের সকলের জন্য ভালো হবে। 

মিষ্টি বা চিনিযুক্ত খাবারের প্রতি আসক্তি

মিষ্টি খেতে ভালোবাসেন না এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যাবে। অনেকেই মিষ্টি খেতে খুবই ভালোবাসেন। মিষ্টি জাতীয় খাবার দেখলেই নিজেকে সামলাতে পারেন না। এইটা খুবই খারাপ একটা অভ্যাস। কেননা চিনিযুক্ত খাবার দেহের মেদ বাড়ায়। তাই ওজন কমাতে হলে অবশ্যই চিনিযুক্ত খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে মিষ্টি খেতে হবে তবে সেইটা হতে হবে পরিমাণ মতো।

প্রত্যেকের শরীরেই মিষ্টির প্রয়োজনীয়তা আছে কেননা এই মিষ্টি জাতীয় খাবার থেকে সুগার লেভেল ঠিক থাকে। আবার বেশি পরিমাণ হয়ে গেলে সুগার লেভেল বৃদ্ধি পায় কম হলেও সুগার লেভেল কমে যায় যার কারণে আপনার মৃত্যুও ঘটতে পারে। তাই একেবারে বন্ধ না করে পরিমাণ মতো খাবেন। অনেকেই হয়তো খুজে পাবেন মিষ্টি খায়না এদের মধ্যেকার অর্ধেকের বেশি লক্ষ্য করবেন তারা তাদের শরীরের সুগার লেভেল ঠিখ রাখতে বা ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই মিষ্টি খাওয়া বাদ দিয়েছে বা কম খায়। 

অনিয়মিত ঘুমের প্রভাবে মেদ বৃদ্ধি

মেদ বা ভূঁড়ি হ্রাস বৃদ্ধিতে ঘুম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিটি মানুষেরই সারাদিনে কমপক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। কম ঘুম বা অত্যাধিক ঘুম দুইটাই মেদ বৃদ্ধির জন্য দায়ী। তাই রাত জাগার অভ্যাস ত্যাগ করে দৈনিক ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর অভ্যাস গড়া উচিত। আর সঠিক সময়ে না ঘুমালে সেটা স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। যার ফলে আপনি ওই ঘুমের ঘাটতি পূরণ করতে হলে ৭-৮ ঘন্টার বেশি ঘুমালেও সেই ঘাটতি আর পূরণ হবেনা। 

আরও পড়ুনঃ ওজন কমানোর সর্বোত্তম কয়েকটি উপায়

খেয়াল করে দেখবেন, যদি সঠিক সময় না ঘুমিয়ে আপনি অনেতক রাত জেগে থাকেন আর অন্য সময় পরিমাণের চেয়েও বেশি ঘুমান তবুও আপনার ঘুমের ঘাটতি পূরণ হবেনা। অথচ আপনি সময়মতো ঘুমিয়ে দেখবেন আর ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানোর পরে উঠে যাবেন দেখবেন আপনার শরীরে ঘুমের ঘাটতি থাকবেনা। তাই সময়মতো নিয়ম অনুসারে ঘুমানো প্রয়োজন এতে করে শুধু মেদ বৃদ্ধি থেকে নয় আপনার মৃত্যুঝুঁকি থেকেও সরে আসতে পারবেন।   

প্রক্রিয়াজাত পানীয় ও এ্যালকোহল পান

প্রক্রিয়াজাত পানিয় তথা জুস এবং এ্যালকোহল ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে তৈরি করা হয় এবং এতে প্রচুর ফ্যাট, কৃত্রিম রং, চিনি ইত্যাদি ক্ষতিকর পদার্থ মিশ্রিত থাকে। ফলে এইসব উপাদানের কারণে দ্রুত ওজন বৃদ্ধি পেতে থাকে। তাই এধরনের পানীয় থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারলে ওজন কমানো সহজ হবে। কারণ প্রত্যেকটি হজমি জাতীয় পানিতেই এ্যালকোহল বিদ্যমান থাকে। হয়তো কোনটাই বেশি আবার কোনটাই কম কিন্তু প্রত্যেকটাই থাকেই। 

এইসব এ্যালকোহলে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট থাকে যা নিয়মিত কেউ পান করলে খুব দ্রুতই এর ফলাফল দৃশ্যমান হতে থাকে। আমরা আগেই জেনেছি যে প্রক্রিয়াজাত কোন কিছুই শরীরের জন্য ভালো প্রভাব ফেলেনা বরং খারাপ প্রভাব ফেলে। তেমনই প্রক্রিয়াজাত পানীয় শরীরের জন্য ক্ষতিকারক হিসেবে কাজ করে থাকে। তাই যতটা সম্ভব এইসব প্রক্রিয়াজত পানী এবং এ্যালকোহল পান থেকে দূরে সরে আসাই ভালো। এতে করে আপনার শরীর অনেকটাই ঝুঁকিমুক্ত হতে পারবে। 

অতিরিক্ত হারে চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ

শরীরের মেদ বৃদ্ধি অন্যতম ও প্রধান কারণ হলো অতিরিক্ত হারে চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ করা। যতটা সম্ভব চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে। কারণ উচ্চ তেলযুক্ত খাবার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চর্বি জমিয়ে রাখে আর যা শরীরের মেদ বৃদ্ধি করতে দ্রুত সহযোগীতা করে থাকে। সকল চর্বি জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে এতে করে আপনি নিজেই সুস্থ্য থাকতে পারবেন। বাদ দেওয়ার কিছুদিন পরে সেইটার ফলাফল আপনি নিজেই খুব ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন। 
অতিরিক্ত-হারে-চর্বিযুক্ত-খাবার-গ্রহণ

প্রাণীজ চর্বি জাতীয় খাবার থেকে নিজেকে যতটা সম্ভব দূরে রাখতে হবে কিন্তু ফলজ চর্বি খাবার আপনি যত ইচ্ছা খেতে পারেন। কারণ, এতে করে আপনার অপকারের কোন ভয় নাই। ফলজ চর্বি মানব দেহের জন্য অনেক উপকারি হয়ে থাকে। যেইটা প্রাণীজ হলে আপনাকে ধ্বংস করে দিতে পারে। তাই এইটা বলাই চলে যে সকল চর্বি খারাপ না, কিছু চর্বি শরীরকে ঠিক রাখতেও কাজ করে থাকে। 

অলস জীবনযাত্রা বা একঘেয়ামী দূর করা

অলস জীবনযাত্রার ফলে খাবার থেকে দেহ যে পরিমাণ ক্যালোরি গ্রহণ করে তার তুলনায় ক্যালোরি খরচ হয় কম। ফলে দেহের ওজন বেড়ে যায়। এধরনের সমস্যা দূর করার উত্তম উপায় হচ্ছে হাঁটা হাঁটি বা ব্যায়াম করা। প্রতিদিন নিয়ম করে ৩০-৪০ মিনিট ব্যায়াম বা হাঁটা হাঁটি করতে হবে। আপনি যদি হাঁটতে না পারেন তাহলে আপনি কাজ করেন। আপনি কাজ করলে আপনি ব্যস্ত থাকবেন এবং আপনার শরীরের ঘাম ঝরান তাহলে দেখবেন আপনি আর মোটা হচ্ছেন না। 

অলস জীবনযাপন করলে শুধু যে মোটা হবেন ব্যাপারটা কি তাই? না, আসলে আপনার প্রত্যেকটা অঙ্গই কাজ করার সামার্থ আস্তে আস্তে কমিয়ে ফেলবে। একটা সময় আর কাজ করতে পারবে না। শরীরে বিভিন্ন রকমের রোগ দেখা দিবে যা আপনার শরীরকে আরো চেপে বসবে। এতে করে আপনি চারিদিক থেকে বন্দি হয়ে আসবেন। সকল রোগ আপনাকে ঘিরে ধরবে  এবং আপনার কার্য কারিতা বিলুপ্ত হতে থাকবে। 

রাতে সময় মতো না খেয়ে দেরি করে খাওয়া

অনেকেই রাতে দেরি করে খেয়ে থাকেন। এইটা অনেকেরই অভ্যাস। বিশেষ করে যারা শিক্ষার্থী  অবস্থায় আছে তারা এই সমস্যাটির সম্মুখীন বেশি হয়ে থাকে। তারা বেশির ভাগই সময় বাইরে বা মেসে থাকেন অথবা হোস্টেলে থাকেন যার ফলে এইরকম অভ্যাস তৈরি হয়ে যায়। যদিও বা অনেক পুরুষ আছে তারা বাইরে আড্ডা দিতে দিতে এবং অনেকে শ্রম দিতে দিতে সময়মতো খাইতে পারেনা। 

তারা অনেক রাত হলে খাবার খেয়ে থাকেন আর খাওয়ার পর পরই ঘুমাতে চলে যান। এতে করে খাবার হজম হবার সময় পায়না। যা দেহে ফ্যাট হিসেবে জমা হয়। বাস্তবিকভাবে মেদ বা চর্বি কমানো একটি জটিল প্রক্রিয়া। এর জন্য দরকার ব্যাপক ইচ্ছাশক্তি ও সচেতনতা। আর তাই উপরোক্ত বিষয়গুলো মনে রাখা এবং মেনে চলা খুবই জরুরী।

মন্তব্য

হঠাৎ ওজন বাড়ার কিছু প্রধান কারণ এই বিষয়ের বিস্তারিত জানার জন্য এতোক্ষণ সময় দিয়ে আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আশা করি আমাদের আজকের এই লিখনিটি আপনার অনেক উপকারে আসবে এবং আপনার বাস্তব জীবনে অনেক কাজে দিবে। এখানকার সকল তথ্য ও উপাত্ত আপনাদের জন্যই সঠিক ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। যার কারণে আমাদের এই লিখনিটা একটু বড় হয়ে গেছে তবুও কষ্ট করে পড়ারু জন্য আবারো ধন্যবাদ। 

আরও পড়ুনঃ অ্যালোভেরা গাছের উপকারিতা ও অপকারিতা

হঠাৎ ওজন বাড়ার কিছু প্রধান কারণ এই শিরোনামের আলোকে আজকের এই পোস্টের মধ্যে কোন প্রকার ভুল পরিলক্ষিত হলে অবশ্যই তা কমেন্টে এর মাধ্যমে জানাবেন। এতে করে আমার সংশোধনের কিছু থাকলে তা সঠিক ভাবে আপনাদের সামনে তুলে ধরতে পারবো। পরিশেষে সকলের সুস্থ্যতা কামনা করে আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবারও অন্য কোন ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন। আসসালামু আলাইকুম। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ABM Creative IT'র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url