দৈহিক শক্তি বৃদ্ধি করে যে সব পুষ্টিকর খাবার
দৈহিক শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য এবং আমাদের শরীরকে ঠিক রাখতে অনেক রকম ভিটামিন এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার প্রয়োজন হয়। যেই খাবার খাওয়ার মাধ্যমেই আমাদের শারীরিক গঠন ঠিক থাকে এবং সুস্থ্য থাকে। এইসকল পুষ্টিকর খাবার সকলের পরিমাণ মতো প্রতিদিন খাওয়া প্রয়োজন।
দৈহিক শক্তি বৃদ্ধি করে যে সব পুষ্টিকর খাবার সেইগুলো খাকবার নিয়ে আজকে আপনাদের জন্য লিখতে চলেছি। আজকের এই পোস্টটি আপনাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। আশা করি শেষ পর্যন্ত এই পোস্টটি পড়ে শ্রবণ করবেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ দৈহিক শক্তি বৃদ্ধি করে যে সব পুষ্টিকর খাবার
- দৈহিক শক্তি বৃদ্ধি করে যে সব পুষ্টিকর খাবার
- বিভিন্ন পুষ্টিকর খাবার ও কার্যকারিতা
- ভিটামিন সি জাতীয় ফল
- সাবধানতা
- শেষ কথা
দৈহিক শক্তি বৃদ্ধি করে যে সব পুষ্টিকর খাবার
দৈহিক শক্তি বৃদ্ধি করে যে সব পুষ্টিকর খাবার তার বিস্তারিত আজকে এই পোস্টে তুলে ধরবো। দৈহিক শক্তি ও খাদ্যভ্যাসের মধ্যে একটি নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। বর্তমান যুগে দৈহিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য প্রাকৃতিক খাদ্যই অনেক বেশি কার্যকরী হিসেবে বিবেচিত হয়। শরীরে শক্তি বৃদ্ধির জন্য পুষ্টিকর খাবারের কোন বিকল্প নেই, নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খেলেই শরীরে দ্রুত শক্তি পাওয়া যায়। তাই দৈনন্দিন খাবারের প্রতি পূর্ণ মনোযোগী হওয়া জরুরি।
বিভিন্ন পুষ্টিকর খাবার ও কার্যকারিতা
ডিম
আরও পড়ুনঃ অ্যালোভেরা গাছের উপকারিতা ও অপকারিতা
দুধ
দুধ এবং দুগ্ধ জাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং প্রাণিজ-ফ্যাট আছে যা দ্রুত দৈহিক শক্তির উন্নতি ঘটায়। যেমনঃ খাঁটি দুধ, দুধের সর, মাখন ইত্যাদি। এইসব খাবার শরীরের গঠনে বিশেষ ভাবে ভূমিকা রাখে এবং প্রোটিন ও প্রাণিজ-ফ্যাট এর চাহিদা পূরণ করে থাকে।
মধু
মধুতে রয়েছে হাজারো গুণের ভরপুর। এছাড়াও মধুতে গ্লুকোজ ও ফ্রুকটোজ আছে যা শরীরে শক্তি যোগায়। দৈহিক দূর্বলতার সমাধানে মধুর গুণের কথা সবারই কম-বেশি জানা। মধু দূর্বলতা থেকে শুরু প্রত্যেকটি সমস্যার হয়ে ঔষুধি হিসেবে কাজ করে থাকে। মধু এমন একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা মৌমাছির চাক থেকে আসে। তাই দৈহিক শক্তি বাড়াতে প্রতিদিন পরিমাণ মত মধু খাওয়া প্রয়োজন।বাদাম
বাদামের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ও খনিজ লবণ। বাদাম অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর একটি ফল এছাড়াও এটি কোলেস্টেরল কমানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাছাড়াও এই বাদামে রয়েছে আরো অনেক গুণ। প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ গ্রাম বাদাম খেলে দেহের প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন, মিনারেল এবং সারা দিনের শক্তির জোগান দিতে পারে। শুধু তাই নয়, আমরা অনেকেই হয়তো জানি বাদাম খেলে চর্বি বৃদ্ধি পায় বা বাদামে অনেক পরিমাণে ফ্যাট আছে। আসলে আমরা ভুল জানি বাদাম এমন একটা তৈল জাতিয় উপাদান যা চর্বি কমাতে সাহায্য করে থাকে।খেজুর ও কিসমিস
খেজুর ও কিসমিস খেলে দ্রুত দেহের শক্তি বৃদ্ধি পায়। কারণ, এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে শর্করা যা দেহের শক্তি দ্রুত বৃদ্ধি করে থাকে। শুধু তাই নয় এই খেজুর ও কিসমিস শরীরের গঠন ঠিক রাখতে যেমন সহায়তা করে থাকে তেমনি দাম্পত্য জিবনেও অনেকটা এর প্রভাব রয়েছে।কলা
কলায় রয়েছে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি, ভিটামিন-সি ও পটাশিয়াম। ভিটামিন-বি ও পটাশিয়াম দৈহিক শক্তি বাড়ায়। তাছাড়া কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে শর্করা যা দেহের শক্তি বৃদ্ধি করে যার উপস্থিতিতে শরীরের ক্লান্তি এবং সকল অবস্বাদ দূর করে থাকে। তাই প্রত্যেকটি ব্যক্তিরই প্রতিদিন একটি করে হলেও কলা খাওয়া প্রয়োজন। এতে করে শরীরের পুষ্টি চাহিদার কোন প্রকার ত্রুটি লক্ষ্য করা যায়না।গরুর মাংস
গরুর মাংসের কথা শুনলেই অনেকের জিব্বায় জল চলে আসে। কিন্তু এই গুরুর মাংস কি আপনার শরীরের জন্য ঠিকঠাক কিনা সেইটা জানা আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গরুর মাংসে রয়েছে প্রচুর জিংক। তাই দৈহিক শক্তি বাড়াতে কম ফ্যাটযুক্ত গরুর মাংস খেতে হবে। অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার কখনোই খাওয়া উচিত নয়। এতে করে শরীরের বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।কফি
কফি দৈহিক শক্তি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কফিতে যে ক্যাফেইন থাকে তা শক্তি বাড়ার জন্য অতিব গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। সেই সাথে রাতের বেলায় ঘুমের জন্য বিঘ্ন ঘটানোর জন্যেও বিশেষ ভূমিকা রাখে। তবে জেনে রাখা ভালো মিষ্টি জাতীয় কোন কিছু মিশিয়ে না খেয়ে শুধু কফি খাওয়াটাই বেশি শ্রেয়। এটাই বেশি উপকারি হিসেবে কাজ করে থাকে।
আরও পড়ুনঃ লেবুর খোসা খেলে কি হয়
চকলেট
চকলেটে রয়েছে ফেনিলেথিলামিন ও সেরোটোনিন নামক উপাদান যা আমাদের দেহে শক্তির মাত্রা বাড়াতে সহায়ক হিসেবে কাজ করে থাকে। আর সেই জন্যেই এই চকলেট বা চকলেট জাতীয় খাবার খাওয়াটাও শরীরের জন্য উপকারি তবে লক্ষ্য রাখবেন অতিমাত্রায় চকলেট খাওয়া আবার স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে। আমরা এতোদিন জানতাম চকলেট বাচ্চাদের খাবার কিন্তু না আসলে চকলেটে যেই পুষ্টি উপাদান রয়েছে তা প্রত্যেক ব্যক্তির জন্যই প্রয়োজন।
ভিটামিন সি জাতীয় ফল
তাই আজে বাজে খাবার খেয়ে শরীরের ক্ষতি না করে উপরোক্ত খাবারগুলো খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে করে আপনি ও আপনার পরিবার সকলেই ভালো থাকবেন। এমন কিছু বিষয় থাকে যা মেনে চলার জন্য আমাদের বেশি কষ্ট করতে হয়না যদি ঠিকমতো অভ্যাস করি তাহলেই আমাদের দৈনন্দিন জীবন অনেক সুন্দর ও সুস্থ্যতায় অতিবাহিত হবে। যদিওবা সুস্থ্যতা আল্লাহর একটি নিয়ামত, কিন্তু আমাদের চেষ্টা সর্বদাই চলমান রাখতে হবে।
আরও পড়ুনঃ শীতের সকালে খেজুর রসের গুণাগুণ
সাবধানতা
দৈহিক শক্তি বৃদ্ধি করে যে সব পুষ্টিকর খাবার সেই সম্পর্কে এতোক্ষণ আমরা জানলাম। এখানে লক্ষণীয় বিষয় কিছু রয়েছে তা হলো, এইসব খাকবারের মধ্যে কোন কিছুই স্বাদের ছলে পড়ে অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়। এতে করে যেমন শরীরের অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি করে শরীরকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেয় তেমনি অতিরিক্ত ফল খেলে পেটের নানা রকম সমস্যাও দেখা দেয়।
তাই লক্ষ্য রাখতে হবে, ভালো করতে গিয়ে যেনো এমন কিছু না করি যার জন্য নিজেকেই সেই সমস্যার জন্য সামাল দিতে হচ্ছে। এমন কিছু খাবার বা ফল আছে আবার কিছু পুষ্টিও আছে যা খেলে শরীর মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। আবার কিছু কিছু পুষ্টিকর খাবার আছে যেইগুলো একসাথে খাওয়া যায়না, যদি কেউ খায় তাহলে সেইটা বিষক্রিয়া পর্যন্ত হতে পারে। তাই সকল কিছু লক্ষ্য রেখে সাবধানতার সহিত প্রত্যেকটি পদক্ষেপ নিতে হবে। আর এই দৈহিক শক্তি বৃদ্ধি করে যে সব পুষ্টিকর খাবার এই সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে।
শেষ কথা
পরিশেষে বলা যায় যে, দৈহিক শক্তি বৃদ্ধি করে যে সব পুষ্টিকর খাবার এতোক্ষণ সেই সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি এইসব তথ্য আপনাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। প্রতিদিন খাবারের সাথে এই পুষ্টিকর খাবারগুলো রাখলে এবং পরিমাণ মতো নিয়মিত খেলে শরীরের দৈহিক শক্তি বৃদ্ধি করে থাকে। তাই আমাদের এই খাবারগুলো প্রত্যেক বেলায় খাবারের সাথে প্রত্যেকের সামর্থ অনুসারে রাখা প্রয়োজন।
আজকের এই লিখনিতে দৈহিক শক্তি বৃদ্ধি করে যে সব পুষ্টিকর খাবার এই সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি যা আপনাদের দৈনন্দিন জিবনে সহায়ক হিসেবে কাজ করে থাকে। এই পোস্টের মধ্যে কোন ভুল পরিলক্ষিত হলে তা ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন এবং কোন পরিবর্তন থাকলে তা অবশ্যই কমেন্ট এর মাধ্যমে জানিয়ে দিবেন। সকলেল সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ভালো থাকবেন আসসালামু আলাইকুম।
ABM Creative IT'র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url