অল্প বয়সে চুল পাকা রোধ করতে যেই খাবারগুলো খাবেন সেই সম্পর্কে আজকে আপনাদের সাথে
বিস্তারিত আলোচনা করতে চলেছি। আশা করি টাইটেল দেখেই বুঝে ফেলেছেন আজকের বিষয়টা
আপনার আমার সকলেরই জন্য গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় পোস্ট হতে চলেছে।
বর্তমানে চুল নাই এইরকম মানুষ খুজলে অভাব হবেনা। এই সমস্যা এখন প্রকট হারে বৃদ্ধি
পাচ্ছে। আজকে এই সম্পর্কেই কিছু ছোট ছোট সহজ এবং সাধ্যের মধ্যে টিপস দিয়ে যাবো
আশা করি আপনার অনেক কাজে আসবে বাস্তব জীবনে। তাহলে চলুন বিস্তারিত জানা যাক।
পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ করছি।
অল্প বয়সে চুল পাকা রোধ করতে যেই খাবারগুলো খাবেন
অল্প বয়সেই চুল পেকে গেলে তা অনেকেরই অসস্তির কারণ হয়। বয়স বাড়ার আগেই অনেকের চুল
পেকে যায়। মানসিক চাপ, বাজে খাদ্যাভাস, প্রকৃতির বৈরী রুপ, অযত্ন েএবং
অবহেলার কারণে অনেকের মধ্যেই এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাছাড়া শরীরে পুষ্টির অভাব
হলেও চুল পেকে যায়। এমন কিছু খাবার আছে অল্প বয়সে চুল পেকে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা
করবে আপনাকে।
এগুলো চুল পাকার পাশাপাশি নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে। প্রতিদিন কিছুটা হলেও এই
খাবারগুলো খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন, তাহলে অল্প বয়সেই চুল পেকে যাওয়ার রোধ করতে
পারবেন। চলুন তাহলে চুল পড়া রোধ করার জন্য বিভিন্ন খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে জেনে আসি
যেইগুলা খেলে আপনার এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
মাছ
মাছে বিশেষ করে সামৃুদ্রিক মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ থাকে। ফ্যাটি এসিড থাকে,
ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার অল্প বয়সে চুল পেকে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।
এছাড়াও মাছে রয়েছে উপকারি হরমোন সেলেনিয়াম যা অল্প বয়সে চুল পাকা রোধে সহায়তা
করে।
সবুজ শাক-সবজি
সবুজ শাক-সবজিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ডায়াটেরি ফাইবার থাকে।
এছাড়াও এতে ভিটামিন-বি তাকে যা মাথার ত্বকের সুস্থ্যতা নিশ্চিত করে। তাই নিয়মিত
শাকসবজি খেলে অল্পট বয়সে চুল পাকার হাত থেকে বাঁচতে পারেন সহজেই।
বাদাম
বাদামে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-ই এবং কপার যা চুল পাকা রোধ করতে সাহায্য করে।
ভিটামিন-ই চুলের ফলিকল মজবুত করে এবং কপার দেহে মেলানিন উৎপন্ন করে চুলের রঙ কালো
রাখতে সহায়তা করে। তাই প্রতিদিন বাদাম খাওয়ার অভ্যাস রাখুন।
চকলেট
চকলেট চুলের জন্য বেশ কার্যকরী একটি খাবার। চকলেটে রয়েছে কপার যা দেহে মেলানিন
উৎপাদনে সহায়তা করে। এটি চুলের কালো রং বজায় রাখে। নিয়মিত ডার্ক চকলেট খেলে অল্প
বয়সে চুল পাকার হাত থেকে রেহাই পেতে।
আখরোট
আখরোটে থাকে প্রচুর পরিমাণে কপার, এই কপারই চুলের মেলানিন উৎপন্ন করে, যার ফলে
চুল থাকে কালো।
কলিজা
কলিজা ভিটামিন বি-১২ সমৃদ্ধ একটি খাবার। এই ভিটামিনটি যেমন রক্তস্বল্পতা দূর করে
তেমনই চুল পেকে যাওয়া থেকেও আপনাকে প্রতিরোধ করে।
সূর্যমুখী বীজের তেলে ভিটামিন-ই, আয়রণ, জিংক এবং ভিটামিন বি-৬ রয়েছে যা চুলে পাক
ধরা রোধ করে। অনেকেই সেই জন্যে রান্নায় সানফ্লাওয়ার অয়েল ব্যবহার করে থাকেন যা
আপনার শরীর এবং চুলের জন্য খুবই ভালো।
ডাল
ডালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-১২ এবং বি-৯। তাই খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন
ডাল রাখা ভালো। ডাল এমন একটি খাদ্য যাতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণে
ভরা।
ডিম
ডিম খেতে অনেকেই পছন্দ করেন আবার অনেকেই পছন্দ করে থাকেন না। আপনি জানেন কি এই
ডিম চুলের জন্য কতটা জুরুরি? ডিমের সাদা অংশ নয় ডিমের কুসুম চুল পাকা রোধ করতে
বেশি সাহায্য করে থাকে।
বেরি ফল
বেরি জাতীয় ফলগুলো ভিটামিন সি-তে ভরপুর রয়েছে। স্ট্রবেরিকে যেমন আমরা উদাহরণ
স্বরুপ গ্রহণ করতে পারি।
হলুদ ক্যাপসিক্যাম
একটি কমলার চেয়ে সাড়ে পাঁচ গুণ বেশি ভিটামিন সি আছে হলুদ ক্যাপসিকামে। চুলের
গোড়ায় পুষ্টি যোগাতে এবং চুল পাকা রোধ করতে সাহায্য করে। এই খাবারগুলো প্রত্যেক
বেলার সাথে নিয়মিত আপানর খাবারের তালিকাতে রাখুন। দেখবেন অল্প বয়সে চুল পাকার
সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন। এগুলো চুল পাকা রোধ করার পাশাপাশি নতুন চুল
গজাতের সাহায্য করে।
মন্তব্য
আজকের এই পোস্টটি আশা করি আপানাকে অনেকটাই চিন্তা মুক্তি রাখতে সাহায্য করে
থাকবে। অতিরিক্ত চিন্তাও কিন্তু এই রোগের আরো একটি বড় সমস্যা তাই। আজকের এই পোস্ট
এর ভেতরের লাইফ স্টাইল যদি আপনি অনুকরণ করতে পারেন তাহলে ইনশাআল্লাহ আশা করি
আপনার চুল পড়া এবং পাকা এই দুইটা সমস্যই দূর হয়ে যাবে।
আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে আরেকটি পোস্টের সাথে। সেই পর্যন্ত সকলে
ভালো থাকবেন সুস্থ্য থাকবেন এবং সুন্দর থাকবেন। আমাদের পোস্টগুলি ভারো লাগলে লাইক
কমেন্ট করবেন এবং নতুন কোন বিষয়ের উপরে পোস্ট পেতে চাইলেও কমেন্ট করে তা জানিয়ে
দিন। পোস্টের মধ্যে তথ্যগত ভুল থাকলে ভুটি মার্জনীয়। ভালো লাগলে এই সাইটটি ঘুরে
আসার জন্য অনুরোধ রইল। আসসালামু আলাইকুম।
ABM Creative IT'র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url