অনলাইনে ট্রাভেল ট্যাক্স দেওয়ার নিয়ম - ট্রাভেল ট্যাক্স সম্পর্কিত সকল তথ্য

অনলাইনে ট্রাভেল ট্যাক্স দেওয়ার নিয়ম অনেক সহজ একটি পদ্ধতি। অনেকেই জানেন না যে, দেশের বাইরে যেতে হলে আপনাকে অবশ্যই ট্রাভেল ট্যাক্স বা ভ্রমণ কর পরিশোধ করতে হবে। আপনি যেই দেশের নাগরিক এই কর সেই দেশের রাষ্ট্রীয় খাতে জমা হয়। 
অনলাইনে-ট্রাভেল-ট্যাক্স-দেওয়ার-নিয়ম-ট্রাভেল-ট্যাক্স-সম্পর্কিত-সকল-তথ্য

দেশ ভেদে এই ট্রাভেল ট্যাক্সের পরিমাণ কম বা বেশি হতে পারে। সাধারণত ট্রাভেল ট্যাক্স প্রদানের জন্য বিভিন্ন তফসিলভূক্ত ব্যাংকের মাধ্যমে দিতে হয়। আজকে তেমন একটি ব্যাংকের অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমেই বাসায় থেকেই কি ভাবে ট্রাভেল ট্যাক্স প্রদান করতে পারবেন সেই বিষয়ে জানবো। 

সূচিপত্রঃ অনলাইনে ট্রাভেল ট্যাক্স দেওয়ার নিয়ম - ট্রাভেল ট্যাক্স সম্পর্কিত সকল তথ্য

অনলাইনে ট্রাভেল ট্যাক্স দেওয়ার নিয়ম - ট্রাভেল ট্যাক্স সম্পর্কিত সকল তথ্য

অনলাইনে ট্রাভেল ট্যাক্স দেওয়ার নিয়ম জানার আগে কয়েকটি বিষয় শেয়ার করি। অনলাইনে ট্রাভেল ট্যাক্স প্রদানের জন্য কেবল সোনালী ব্যাংকের লিংক ব্যবহার করে দেওয়া যায়। সোনালী ব্যাংকিং সেবাতেই কেবল এই সুবিধাটি পাবেন। এছাড়াও ম্যানুয়ালিও ট্রাভেল ট্যাক্স প্রদান করা যায় ব্যাংকে গিয়ে চালান কেটে টাকা জমা দিয়ে কিছুটা সময় অপচয় হয়। আপনার সময় অপচয় হয়। কিন্তু অনলাইনে আপনার কোন কিছুই লাগবেনা অফলাইনের তুলনায় শুধু সর্বচ্চো ৩ মিনিট লাগবে এই পেমেন্ট করতে।

আরও পড়ুনঃ ভ্রমণের পূর্বে যেই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানা থাকতে হবে

এছাড়াও অনলাইনে আবার সকল পোর্টের জন্য ট্রাভেল ট্যাক্স প্রদান করা যায়না। যেমন ধরেন আপনি বেনাপোল যেইটার ইন্ডিয়ান সাইটের নাম হরিদাসপুর, দর্শনা যার ইন্ডিয়ান সাইটের নাম গেদে এবং ভ্রমরা যার ইন্ডিয়ান সাইটের নাম ঘোচাডাঙ্গা এই ৩ বর্ডারের জন্য আপনি অনলাইনে ট্রাভেল ট্যাক্স দিতেন পারেন। অর্থাৎ, এই তিনটি বর্ডার কেবল আপনাকে অনলাইনে দেওয়া ট্রাভেল ট্যাক্স অনুমোদন দিয়ে থাকে। 

আবার মজার বিষয় হচ্ছে এই ট্রাভেল ট্যাক্স শুধু স্থলভাগের জন্য প্রদান করা লাগে। আপনি যেই বর্ডার দিয়েই যাননা কেনো আপনাকে ট্রাভেল ট্যাক্স দেওয়াই লাগবে সেইটা অনলাইনে দেন বা অফলাইনে ব্যাংকে গিয়ে দেন সেইটা কোন ব্যাপার না। আপনি যদি এয়ারে কোন দেশে যান তাহলে আপনার ট্রাভেল ট্যাক্সের টাকা এয়ারের টিকিটের সাথেই ধরে নেয়। কিন্তু বাই রোডে কতা হয়না। 

তবে আপনি যদি আবার বাংলাদেশ থেকে সরাসরি ট্রেন যোগে ইন্ডিয়াতে যেতে চান তাহলে আবার টিকিটের সাথে ধরে নেয় এই ট্রাভেল ট্যাক্সের টাকা। আরেকটি বিষয় হচ্ছে আপনি পানিপথে গেলেও আপনাকে ট্রাভেল ট্যাক্স প্রদান করে যেতে হবে। অনলাইনে কেবল শুধু ইন্ডিয়া, নেপাল, ভূটান, মায়ানমার এই চারটি দেশের জন্য ট্রাভেল ট্যাক্স প্রদান করা যায়। 

অনলাইনের মাধ্যমে ট্রাভেল ট্যাক্স প্রদান

অনলাইনে ট্রাভেল ট্যাক্স প্রদানের জন্য প্রথমেই আপনাকে ট্রাভেল ট্যাক্স প্রদানের জন্য সোনালি ব্যাংকের ই-পেমেন্ট পোর্টালের ওয়েবসাইটে গিয়ে তাদের ট্রাভেল ট্যাক্সের লিংক এ প্রবেশ করতে হবে। আপনি চাইলে সরাসরি আমার দেওয়া এই লিংকে প্রবেশ করেও ট্রাভেল ট্যাক্স দিতে পারেন। এইখানে ক্লিক করলেও আপনি ওই লিংক পেয়ে যাবেন। 

অনলাইনের-মাধ্যমে-ট্রাভেল-ট্যাক্স-প্রদান

উপরের চিত্রে সোনালী ব্যাংকের ই-পেমেন্ট সিস্টেমের মূল ওয়েবসাইটের লিংক। সেখানে থেকেই লাল এ্যারো চিহ্ন দিয়ে দেখানো অপশানে ক্লিক দিলেও আপনি ট্রাভেল ট্যাক্স প্রদানের সাইটে চলে যাবেন। 

অনলাইনের-মাধ্যমে-ট্রাভেল-ট্যাক্স-প্রদান

এই লিংকে আসার পরেই প্রথমে আপনার নাম চাইবে। অবশ্যই পাসপোর্ট অনুসারে যেই নামটি আছে ওই নামটি ইংরেজিতে পূরণ করুন। ছোট হাতের বা বড় হাতের লিখা কোন সমস্যা নাই কিন্তু আপনি অবশ্যই বড় জাতের সকল অক্ষর ব্যবহার করবেন। এরপরে আপনার পাসপোর্ট নাম্বার এখানে সঠিক ভাবে ইনপুট দিন। 

এর পরে আপনি এডাল্ট নাকি চাইল্ড পলিসির আওতাভূক্ত সেইটা অনুসারে অপশান সিলেক্ট করুন। আপনার বয়স যদি ১২ বছরের বেশি হয় তাহলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাকে এডাল্ট হিসেবে কাউন্ট করবে এবং বর্তমান নিয়ম অনুসারে ১০০০ টাকা প্রদান করতে হবে। আর যদি আপনার বয়স ১২ বছরের কম হয় এবং ৫ বছরের বেশি হয় তাহলে আপনি চাইল্ড পলিসি অনুসারে ৫০০ টাকা প্রদান করতে হবে। 

আর ৫ বছরের নিচে কোন বাচ্চার বয়স হলে সেই ক্ষেত্রে ট্রাভেল ট্যাক্স প্রদান করতে হয়না। তার জন্য ছাড় আছে ট্রাভেল ট্যাক্স। তবে বয়স কাউন্ট করবেন পাসপোর্টের জন্ম তারিখ দিয়ে এবং যেই দিনে আপনি ভারতে প্রবেশ করতে চাচ্ছেন সেই দিন পর্যন্ত হিসাব করবেন। তাছাড়া আপনাকে বর্ডার পার হওয়ার সময় পূণরায় বাকি টাকা পরিশোধ করে বর্ডার পার হতে হবে। এইরকম পরিস্থিতির স্বীকার হলে আপনি অনেক ঝামেলার মধ্যে পড়তে পারেন। তাই ভালো ভাবে বয়স হিসাব করে নিবেন।

এরপরে আপনি কোন মাধ্যম দিয়ে যেতে চাইছেন সেই মাধ্যম সিলেক্ট করতে হবে। এখানে ৩ টা অপশান আছে বাই রোড, বাই এয়ার এবং পানি পথে। এয়ারে হলে আপনাকে আলাদা করে ট্রাভেল ট্যাক্স প্রদান করতে হবেনা সেইটা আগেই বলেছি। আর বর্তমানে পানি পথের মাধ্যমে আমাদের দেশে কোন যাতায়াত ব্যবস্থা চালু নেই কোন দেশের সাথে। ভারতের সাথে পানি পথে যাতায়াতের ব্যবস্থা শুরু হয়েছিলো কিছুদিন পূর্বে কিন্তু এখন আর সেইটা বহাল নেই। তাই আপনাকে বাই রোড অপশানটাই সিলেক্ট করা লাগবে।

এরপরে আপনার গন্তব্যস্থল কোন দেশ হবে সেই দেশটি সিলেক্ট করুন। আগেই বলেছি এখানে চারটি দেশের নাম থাকবে এর মধ্যে আপনি যেই দেশের জন্য ট্রাভেল ট্যাক্স দিতে চাচ্ছেন বা যেই দেশে যেতে চাইছেন সেই দেশের নাম সিলেক্ট করুন। আমি আপাতত ভারত দিয়ে পরবর্তী অপশানে যাচ্ছি আপনাদের দেখানোর জন্য তাছাড়া আমি পরবর্তী অপশানে যেতে পারবো না। 

পরবর্তী ছকে আপনার সচল মোবাইল নাম্বারটি প্রদান করুন। পেমেন্ট করার পরেই কিছুকক্ষণের মধ্যেই আপনার মোবাইলে ম্যাসেজ যাবে পেমেন্ট সম্পূর্ণ হয়েছে সেইটা জানিয়ে। তাই সঠিক মোবাইল নাম্বার দিন। নাম্বার ভুল হলেও খুব একটা সমস্যা হয়না তারপরেও সঠিক নাম্বার দেওয়ার চেষ্টা করবেন এতে করে আপনি তৎক্ষণাৎ ম্যাসেজ পেলে বুঝতে পারবেন আপনার পেমেন্ট সম্পূর্ণ হয়েছে কিনা।

টাকার ঘর পূরণ হয়েই থাকেবে এইখানে আপনাকে কিছুই করতে হবেনা। এখন আপনাকে সাবমিট বাটনে ক্লিক করতে হবে। ক্লিক করার পরে যেই ইন্টারফেসটি আসবে সেইটা আমি আমার তথ্য দিয়ে পূরণ করে দেখাই দিচ্ছি। এখানে আপনার প্রদানকৃত তথ্য আপনাকে আবার দেখাবে রিভিউ করার জন্য। ভালো ভাবে দেখে নিন, কোন কারেকশান থাকলে এডিট অপশানে ক্লিক করুন আপনাকে আগের অপশানে আবার নিয়ে যাবে ঠিক করা হলে একই প্রসেসে আবার এইখানে আসুন আসার পরে পেমেন্ট রিকুয়েস্ট বাটনে ক্লিক করুন।

অনলাইনের-মাধ্যমে-ট্রাভেল-ট্যাক্স-প্রদান

পেমেন্ট বাটনে ক্লিক করারু পরে এইরকম একটি সতর্কতামূলক লিখা দেখাবে। আপনি যদি পরবর্তী স্টেপের জন্য প্রস্তুত থাকেন তাহলে ওকে অপশানে ক্লিক করবেন।

অনলাইনের-মাধ্যমে-ট্রাভেল-ট্যাক্স-প্রদান
ওকে অপশানে ক্লিক করার পরে আপনার নিচের চিত্রের মতো একটি এন্টারফেস আসবে। এইখানে আপনার কত টাকা লাগবে সেই সাথে আপনার নামসহ তথ্য এবং আপনি কোন পেমেন্ট সিস্টেম বা মেথড ব্যবহার করবেন সেইটা দেখাবে। আপনি সবকিছু দেখে আপনার ইচ্ছামতো পেমেন্ট অপশান সিলেক্ট করুন। মূলক সোনালী ব্যাংক সিলেক্ট করার প্রয়োজন নাই ওইটা ব্যাংক কর্তৃপক্ষের জন্য। 
অনলাইনের-মাধ্যমে-ট্রাভেল-ট্যাক্স-প্রদান

আপনি কার্ড, মোবাইল ব্যাংকিং অথবা ইন্টারনেট ব্যাংকিং পরিসেবাগুলোর মধ্যে একটি সিলেক্ট করুন। আমি মোবাইল ব্যাংকিং সিলেক্ট করলাম। 

অনলাইনের-মাধ্যমে-ট্রাভেল-ট্যাক্স-প্রদান
মোবাইল ব্যাংকিং সিলেক্ট করার পরে এখানে অনেকগুলো অপশান দেখাবে। যতগুলা মোবাইল ব্যাংকিং পরিসেবার সাথে তাদের ডিল আছে সবগুলাই এখানে দেখাবে। আপনি আপনার পছন্দ মতো পেমেন্ট মেথড সিলেক্ট করুন। আমি বিকাশ করে দেখাচ্ছি আপনি আপনার মতো করে পেমেন্ট অপশান সিলেক্ট করবেন তবে আপনার পেমেন্ট যেই মেথড ব্যবহার করবেন সেই একাউন্টে পরিমাণ মতো টাকা থাকতে হবে। এই পুরো প্রসেস এর জন্য আপনি ৯ মিনিট সময় পাবেন। এর মধ্যেই আপনাকে এই প্রসেস শেষ করতে হবে। 

অনলাইনের-মাধ্যমে-ট্রাভেল-ট্যাক্স-প্রদান
বিকাশ সিলেক্ট করার মতো এইরকম অপশান দেখাবে যেখানে মোড অর্থাৎ আপনার পেমেন্ট মেথড দেখাবে। বিকাশের ক্ষেত্রে টিবিকাশ দেখাবে। এরপরে মেইন টাকার পরিমাণ দেখাবে যেইটা ১০০০ টাকা দেখাবে। এই ১০০০ টাকা পেমেন্ট এর জন্য বিকাশ আপনার কাছে থেকে প্রসেসিং ফি বাবদ ৬ টাকা নিচ্ছে। যা প্রত্যেকটা মেথড এর জন্যই প্রযোজ্য তবে প্রসেসিং ফি এর পরিমাণ কমবেশি হতে পারে মেথড অনুসারে। আর এখানে দেখানো অপশান প্রত্যেক মোবাইল ব্যাংকিং মেথডের জন্য একই আসবে। সবকিছু দেখে নিয়ে কনফার্ম এ ক্লিক করুন।
অনলাইনের-মাধ্যমে-ট্রাভেল-ট্যাক্স-প্রদান
এইবার আপনার সামনে এইরকম আরেকটি অপশান আসবে। এখানে আপনার যেই মোবাইল নাম্বারে একাউন্ট আছে সেই নাম্বারটি সঠিক ভাবে প্রদান করুন। এরপরে পূণরায় কনফার্ম লিখার বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার ওই নাম্বারে একটি ৬ সংখ্যার ওটিপি (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) কোড যাবে। কোডটি এই অপশানে প্রদান করুন। 
অনলাইনের-মাধ্যমে-ট্রাভেল-ট্যাক্স-প্রদান

কোডটি ছকে বসানোর সাথে সাথেই কনফার্ম বাটনটি এক্টিভ বা সচল হয়ে যাবে। এরপরে কনফার্ম বাটনে ক্লিক করন। এইবার আপনার এই বিকাশ একাউন্টের পিন নাম্বার চাইবে। পিন নাম্বারটি প্রদান করুন এরপরেই আপনার কনফার্ম বাটনটি এক্টিভ বা সচল হয়ে যাবে এইবার আবারও কনফার্ম বাটনে ক্লিক করুন। এইবার কয়েক সেকেন্ড সময় নিবে পেমেন্ট বা ট্রানজেকশান সম্পূর্ণ হতে। এই পেমেন্ট এর প্রসেসটি সম্পূর্ণ করার জন্য ৩০ সেকেন্ড সময় পাবো কোড বসানোর জন্য।

অনলাইনের-মাধ্যমে-ট্রাভেল-ট্যাক্স-প্রদান

এই সময়ের মধ্যে যদি কোড না যায় অথবা টাইম পার হয়ে যায় কোডের তাহলে পূণরায় কোড পাঠানোর জন্য অনুরোধ। সময়ের জায়গাতে তখন রিসেন্ড লিখা থাকবে। ওইখানেই ক্লিক করতে হবে তাহলেই পূণরায় আবার কোড যাবে। আর যদি কোন কারণে কোড না যায় তাহলে পরবর্তীতে চেষ্টা করুন। সার্ভার জটিলতার কারণে পেমেন্ট করতে সমস্যা হয়ে থাকে অনেক সময়। আবার অনেক সময় সাইট ও সচল থাকেনা। এইরকম হলে পরবর্তীতে কোন এক সময় আবার চেষ্টা করবেন। এছাড়াও বেশি সময় নিয়ে ফেললে আবার প্রথম অবস্থাতে চলে যেতে পারে। তাই সময়মতো সকল কাজ শেষ করুন। 

আরও পড়ুনঃ রোবট ব্যবহারের অসুবিধা গুলো কি কি - রোবট দিয়ে কি কি সমস্যা সমাধান করা যায়

কয়েক সেকেন্ড সময় নেওয়ার পরে আপনাকে একটি ড্যাসবোর্ড দেখাবে যেখান থেকে আপনার পেমেন্টের সকল তথ্য দেখাবে এবং ডাউনলোড অপশান দেওয়া থাকে সেইখানে ক্লিক করলে আপনার পেমেন্ট স্লিপটি ডাউনলোড হয়ে যাবে। এই কপিটি আপনাকে সংগ্রহ করতে হবে এবং এর তিনটি অংশ বাংলাদেশ  বর্ডারের ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় কেটে নিবে আপনার কাছে থাকবে শুধু একটি অংশ। 

প্রথমেই থাকবে প্যাসেঞ্জার কপি যেইটা আপনার কাছে সংরক্ষিত থাকবে প্রমাণ স্বরুপ। এর পরে কাস্টমস কপি কাস্টমস কেটে নিবে। তারপরে থাকবে ট্যাক্স কমিশন কপি যেই ট্যাক্স কমিশন কর্তৃপক্ষ  কেটে নিবে। দুইজনেই যে যার কপি কেটে নিয়ে আপনার কপি আপনাকে ফেরত দিবে। এই তিনটি কপি একটি কাগজেই থাকবে পরপর সাজানো। আপনি চাইলে রঙ্গিন প্রিন্ট করতে পারেন আবার সাদাকালো প্রিন্ট করলেও করতে পারেন। তবে রঙ্গিন প্রিন্ট করাই ভালো। নিচে চিত্রটি দিয়ে দিলাম আপনার বোঝার স্বার্থে। 
অনলাইনের-মাধ্যমে-ট্রাভেল-ট্যাক্স-প্রদান
আপনি যদি কোন কারণে কপিটি সংগ্রহ করতে না পারেন অথবা আপনার কাছে থেকে হারিয়ে বা নষ্ট হয়ে যায় তাহলে এই পেমেন্ট সাইটের প্রথমেই চলে আসবেন। সেখানেই হোম পেজে দেখবেন পাসপোর্ট নাম্বার নিয়ে সার্চ দেওয়ার একটি অপশান আছে। ওই অপশানে ক্লিক করে আপনার পাসপোর্ট নাম্বারটি প্রদান করে সার্চ দিলেই আপনার পেমেন্ট স্লিপটি চলে আসবে। তবে যদি এর আগেও কোন পেমেন্ট করা থাকে ট্রাভেল ট্যাক্স অনলাইনের মাধ্যমে তাহলে সেগুলোও এখানে দেখাবে। আপনি সাবধানতার সহিত আপনার সর্বশেষ পেমেন্ট স্লিপটি বের করে ডাউনলোড দিয়ে প্রিন্ট করুন। 
অনলাইনের-মাধ্যমে-ট্রাভেল-ট্যাক্স-প্রদান
আমার এই পুরো প্রক্রিয়াটি যদি আপনার বোধগম্য না হয় তাহলে আপনি এই সাইটের হোম পেজেই ইউজার ম্যানুয়াল বলে একটা অপশান আছে আমি দাগ দিয়ে দিয়েছি দেখে নিবেন সেইখানে ক্লিক করবেন। সেইখানেও পুরো প্রসেস দেখানো আছে তবে হয়তো আমার মতো করে এতো বিস্তারিত ভাবে দেখানো বা বোঝানো নেই। 

সাবধানতা বা সতর্কতা অবলম্বন

অনলাইনে ট্রাভেল ট্যাক্স দেওয়ার নিয়ম নিয়ে এতোক্ষণ আপনাদের সামনে পুরো সিস্টেম বা প্রসেস তুলে ধরেছি। এই পুরো প্রসেস এর মধ্যে প্রত্যেকটি অংশ এবং প্রত্যেকটি স্টেপ ও তথ্য সঠিক ভাবে পূরণ করতে হবে। কোন তথ্য ভুল প্রদান করা যাবেনা। আপনার তথ্যগত কোন ভুল হলে বর্ডারে কর্তৃপক্ষ আপনাকে ঘুরিয়ে দিতে পারে অথবা আপনাকে পূণরায় পেমেন্ট করার জন্য সাজেশান দিতে পারে। এতে করে আপনার সময় এবং আর্থিক ক্ষতি দুইটারি সম্মুখিন হতে পারেন। 

এছাড়াও আপনি যদি পেমেন্টের সময় কোন তথ্যগতভাবে ভুল করেন বা পেমেন্ট অপশান সিলেক্ট করতে বা যে কোন ত্রুটিগত কারণে পেমেন্ট ইনভয়েস না পান বা স্লিপ না পান তাহলে আপনার টাকা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। অনেক সময় সার্ভার ত্রুটিগত কারণে পেমেন্ট নিয়ে নিলেও আপনাকে পেমেন্ট স্লিপ না দিতেও পারে। এই ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। প্রত্যেকটি পেমেন্ট মেথডেই এই সমস্যা হতে পারে। তাই আগে সার্ভার ঠিক আছেকিনা দেখে নিয়ে আবেদন করবেন। প্রয়োজনে সময় নিয়ে পরবর্তীতে পেমেন্ট করেন। 

মন্তব্য বা শেষ কথা

অনলাইনে ট্রাভেল ট্যাক্স দেওয়ার নিয়ম এবং ট্রাভেল ট্যাক্স সম্পর্কিত সকল তথ্য আমি এই পোস্টের মাধ্যমে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি এই পুরো পোস্ট আপনার ট্রাভেল গাইড হিসেবে কাজ করবে। আপনি যদি মনোযোগ সহকারে এই পোস্টটি পড়েন এবং দেখে থাকেন তাহলে আপনি নিজেই এরপর থেকে নিজের ট্রাভেল ট্যাক্স দিতে পারবেন। এইখানে অনেক লিখা বা ঝামেলা মনে হলেও আসলে অনেক সহজ এবং ছোট্ট কাজ যা আপনি চেষ্টা করলেই পারবেন। যদি কোন সমস্যায় পড়েন তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন এবং ইমার্জেন্সি হলে আমার সাইট থেকে মোবাইল নাম্বার নিয়ে কল করবেন আমি সহায়তা করবো ইন-শা-আল্লাহ।

আরও পড়ুনঃ কিভাবে ঘরে বসেই মেয়েরা ইনকাম করবে

পরিশেষে বলতে চায়, আমার আজকের এই পোস্টের মধ্যে তথ্যগত বা ভাষাগত অথবা লিখার কোন ভুল-ত্রুটি হয়ে থাকলে তা ক্ষমা করে দিবেন। আর ভুলগুলো কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন যেনো আমি সংশোধন করতে পারি ভুলগুলো। এছাড়ও আপনারা কি ধরনের বা কোন বিষয়ের উপরে পোস্ট চাইছেন তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন তাহলে আমি ওই ধরনের বা ওই বিষয়ের উপরে পোস্ট তৈরি করার চেষ্টা করবো। আমার এই পোস্টগুলো ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন এবং নিয়মিত আমার এই সাইট ভিজিট করবেন এই প্রত্যাশা রেখে আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি আবার অন্য কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হবো। সেই পর্যন্ত সুস্থ্য থাকবেন এবং সুন্দর ও ভালো থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ। আসসালামু আলইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ABM Creative IT'র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url