ইন্ডিয়ান ভিসা এপ্লিকেশনের এ টু জেড - মেডিকেল ভিসা আবেদনের নিয়ম

ইন্ডিয়ান ভিসা এপ্লিকেশনের এ টু জেড আপনাদেরকে আজকে এই কনটেন্ট এর মাধ্যমে দেখাবো এবং শিখাবো। আশা করি আপনি আজকের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ ভালোভাবে দেখলে আর কোন অনলাইনের দোকানে বা কোন এজেন্সিতে দিনের পর দিন ঘুরতে হবেনা। 

ইন্ডিয়ান-ভিসা-এপ্লিকেশনের-এ-টু-জেড

বর্তমানে যেই নিয়ম অনুসারে আবেদন গ্রহণ করে ইন্ডিয়ান এম্বাসি সেই নিয়ম অনুসারেই আজকে আপনাদেরকে সকল প্রসেস দেখাবো। তবে আপনি নিজে আবেদন করার আগে ইন্ডিয়ান এম্বাসির ওয়েব পোর্টালে গিয়ে একবার দেখে আসবেন কোন আপডেট থাকলে তা অবশ্যই ফলো করবেন। 

ভিসা আবেদনের স্টেপ বা সূচিপত্রঃ ইন্ডিয়ান ভিসা এপ্লিকেশনের এ টু জেড - মেডিকেল ভিসা আবেদনের নিয়ম

ইন্ডিয়ান ভিসা এপ্লিকেশনের এ টু জেড - মেডিকেল ভিসা আবেদনের নিয়ম

ইন্ডিয়ান ভিসা এপ্লিকেশনের এ টু জেড জানার জন্য আজকের এই ব্লগে আপনাকে জানাই স্বাগতম।আজকে এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি ইন্ডিয়ান ভিসা এপ্লিকেশন করা শিখে যাবেন খুব ভালো করেই আশা করছি। ইন্ডিয়ান ভিসার জন্য যেই আবেদন ফরম তা সবগুলোই একি রকম শুধু ক্যাটাগরি অনুসারে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। আজকে এমন একটা ভিসার আবেদন আপনাদেরকে দেখাবো যা বর্তমানে অনেক প্রচলিত এবং এই আবেদনটি আপনি করতে পারলে বাকি সবগুলো আবেদনই আপনি নিজেই করতে পারবেন। 

আরও পড়ুনঃ ইসলামি ব্যাংক ফাউন্ডেশনে বিশাল নিয়োগ-জেনে নিন আবেদন প্রক্রিয়া

আর যদি অন্য কোন আবেদন করতে গিয়ে কোন সমস্যায় পড়েন তাহলে তাহলে এই পোস্টে কমেন্টের মাধ্যমে সমস্যাগুলো জানালে আমি সমাধান করে দেওয়ার চেষ্টা করবো ইন-শা-আল্লাহ। এছাড়াও জুরুরি হলে আমার এখানে মোবাইল নাম্বার আছে সেইখানে যোগাযোগ করলেও আমি আপনাদেরকে হেল্প করবো। আজকে ভিসা আবেদন করা, পেমেন্ট করাসহ আরো ছোট ছোট ট্রিকসগুলো শেখাবো যা আপনাকে সবাই শিখাবেনা। চলুন তাহলে দেরি না করে আজকে আমরা মেডিকেল ভিসার আবেদন সম্পর্কে জেনে আসি কারণ এই মেডিকেল ভিসার আবেদন করতে পারলেই আপনি প্রায় সবগুলোই আবেদন করতে পারবেন। 

ভিসা কত প্রকার ও কি কি

ইন্ডিয়ান ভিসা এপ্লিকেশন করার আগেই প্রথমে আসি ভিসা কত প্রকার ও কি কি? যেহেতু আজকের এই পোস্ট শুধু ভিসার আবেদন করে দেখাবো তাই নয়, আজকে এ টু জেড সকল কিছু শেখানোর জন্য চেষ্টা করবো। আপনি চাইলে এই পোস্টটি আপনার শেখার জন্য রেখে দিতে পারে। বর্তমানে ইন্ডিয়াতে বাংলাদেশের জন্য ১৪টি ক্যাটাগরির ভিসা চালু আছে। যদিও প্রয়োজন অনুসারে কিছু ভিসা এম্বাসিডরের অনুমতিক্রমে ইস্যু হয়ে থাকে। তাছাড়া সকল ভিসা বর্তমান সময়ে এসে গ্রহণ করেনা। আপাতত মেডিকেল ভিসা এখন কোন প্রকার বাধা ছাড়াই চালু আছে। তবে কিছু রিস্ট্রাকশন মেনে এইসব ভিসা ইস্যু করা হচ্ছে। 

ভিসার প্রকারভেদঃ ভিসা মূলত৮-১০ টি ক্যাটাগরি হয়ে থাকে। কিন্তু কিছু ক্যাটাগরিকে ভেঙে আলাদা আলাদা ক্যাটাগরি তৈরি করা হয়েছে আর সেই অনুসারে ভিসা ১৪ প্রকার। নিম্নে এই ১৪ প্রকার ভিসার তালিকা দেওয়া হলো-
  1. টুরিস্ট ভিসা
  2. মেডিকেল ভিসা
  3. বিজনেস ভিসা
  4. ট্রানজিট সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসা
  5. ট্রানজিট ডাবল এন্ট্রি ভিসা
  6. শর্ট টাইম সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসা
  7. লং টাইম মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা
  8. স্টুডেন্ট ভিসা
  9. রিসার্চ  ভিসা
  10. কনফারেন্স ভিসা
  11. ইমপ্লয়মেন্ট ভিসা
  12. ট্রেনিং ভিসা
  13. এন্ট্রি ভিসা
  14. মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ভিসা

এতোগুলা ক্যাটাগরি থাকলেও এতগুলা ইস্যু করা হয়না। তবে এইসবগুলা ভিসা নিয়ে বিস্তারিত বলতে গেলে হয়তো অনেক লিখা হয়ে যাবে তা আপনাদের পক্ষ্যেও কষ্টকর তাই কোন ভিসার কাজ কি সেইটা জানতে চাইলে অবশ্যই কমেন্টে করবেন আমি বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো।  

ভিসা এপ্লিকেশনের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট

ইন্ডিয়ান ভিসা এপ্লিকেশনের এ টু জেড জানার জন্য আপনাকে অবশ্যই আমার এই পোস্টের পাশাপাশি ওয়েবসাইট ভালোভাবে ঘুরে আসতে হবে। কিকছু বুঝতে না পারলে কমেন্ট করবেন উত্তর দিবো ইন-শা-আল্লাহ। যত প্রকার ভিসা আছে সবগুলোই কিছু ডকুমেন্ট একই লাগে শুধু ক্যাটাগরি অনুসারে কয়েকটি ডকুমেন্ট ভিন্ন ভিন্ন প্রয়োজন হয়। আজকে যেহেতু আপনাদের সাথে মেডিকেল ভিসা নিয়ে বিস্তারিত জানাতে চলেছি বা মেডিকেল ভিসা আবেদনের নিয়ম সম্পর্কে জানাবো তাই মেডিকেল ভিসার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টের তালিকা তুলে ধরলাম। 
  • জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি।
  • সর্বশেষ বিদ্যুৎ বিলের ফটোকপি।
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট (শেষ ৬ মাসের)/ ডলার এনডোর্সমেন্ট/ ডুয়েল কারেন্সি ক্রেডিট কার্ড/ ট্রাভেল কার্ড (ডকুমেন্টেরের মূল কপি)।
  • তারিখসহ মেডিকেল ভিসা ইনভাইটেশন লেটার (যেই মেডিকেলে যেতে ইচ্ছুক) রঙ্গিন প্রিন্ট কপি।
  • পেশার প্রমাণপত্র (ব্যবসা হলে ট্রেড লাইসেন্স, শিক্ষার্থী হলে কলেজ প্রতিষ্ঠান আইডি বা প্রত্যয়ন, সরকারি চাকুরিজীবী হলে জি.ও লেটার, কৃষক হলে জমির দলিল অথবা খতিয়ান বা পর্চা, বেসরকারি চাকুরি হলে প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র হিসেবে প্রত্যয়ন বা এনওসি) ফটোকপি।
  • বাংলাদেশের চিকিৎসার সকল মেডিকেল পেপারস এর মূল কপি ও ফটোকপি।
  • সর্বশেষ পাসপোর্টের ফটোকপি (সর্বনিম্ন ৬ মাস মেয়াদ থাকতে হবে এবং ২টি পৃষ্ঠা ফাকা রাখা বাঞ্চনীয়) এবং সেই সাথে সকল পাসপোর্টের মূল কপি (যদি থাকে)।
  • পূর্বের ভারতীয় ভিসার ফটোকপি (যদি থাকে)।
এই সকল ডকুমেন্ট আবেদনের সময় অনলাইন ফরম ফিলাপের জন্য প্রয়োজন হয়। এছাড়াও আবেদন কপি ভারতীয় ভিসা এপ্লিকেশন সেন্টারে জমা দেওয়ার সময়টাতেও এইসব কডি জমা দেয়া লাগে প্রমাণ স্বরুপ। 

ইন্ডিয়ান অনলাইন ভিসা এপ্লিকেশনের পূর্বে-মেডিকেল ইনভাইটেশন বা এ্যাপোয়েন্টমেন্ট সংগ্রহ

ইন্ডিয়ান ভিসা এপ্লিকেশনের এ টু জেড যেহেতু আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে শিখাইতে চেয়েছি সেই জন্য কি ভাবে ভারতীয় এ্যাপোয়েন্টমেন্ট লেটার বা ভিসা ইনভাইটেশন লেটার নিতে হয় সেটাও শিখিয়ে দিবো আজকের এই পোস্টে। আপনি যদি ভারতীয় মেডিকেল ভিসা প্রার্থী হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে আবেদনের সাথে যে সকল ডকুমেন্ট প্রদান করবেন তার সাথে অবশ্যই যেই মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে চাইছেন সেখানকার ইনভাইটেশন নেওয়া লাগে আপনি যে সেখানে দেখাবেন তার প্রমাণ স্বরুপ। 

অনেক মেডিকেল আছে যারা প্রথম অবস্থায় ভিসা ইনভাইটেশন প্রদান করে থাকে এবং ভিসা হয়ে গেলে কনফার্ম এ্যাপোয়েন্টমেন্ট প্রদান করে থাকে। এখন হয়তো ভাবছেন কি ভাবে আপনি বাংলাদেশে থেকে ভারতের মেডিকেলের ডাক্তারের এ্যাপোয়েন্টমেন্ট নিবেন! আসলে এইটা কোন চিন্তার কারণই না। প্রথমেই বলি বর্তমানে যেই মেডিকেলের ইনভাইটেশন নিবেন আপনার ভিসাতে সেই মেডিকেলের নাম উঠে যাবে তাই আপনি ওই মেডিকেলেই চিকিৎসা নিতে বাধ্য। সেই জন্য আগে আপনি মনোস্থির করে নিন যে আপনি কোন মেডিকেলে যাবেন। 

মেডিকেল ঠিক করা হয়ে থাকলে অনলাইনে গিয়ে ওই মেডিকেলের ওয়েবসাইটে গিয়ে ওদের নাম্বার সংগ্রহ করুন এবং সেই নাম্বারে হোয়াটসএ্যাপ আছে কিনা সেইটা চেক করুন। যদি হোয়াটসএ্যাপ থাকে তাহলে সেই খানেই আপনি আপনার মেডিকেল পেপারস, পাসপোর্ট সহ এটেন্ডেন্ট থাকলে তার পাসপোর্ট সহ সকলের নাম, পাসপোর্ট নাম্বার, রুগীর বা তার দেখাশোনা করেন এমন কারো মোবাইল নাম্বার, সমস্যার কথা, ডাক্তার চয়েজ থাকলে ডাক্তারের নাম, কোন মেডিকেলে দেখাবেন সেই মেডিকেলের নাম, আপনার ই-মেইল ঠিকানা এবং আপনি কবে নাগাদ যেতে চাচ্ছেন সেই তারিখ উল্লেখ করে প্রেরণ করুন। 

আরও পড়ুনঃ রোবট ব্যবহারের অসুবিধা গুলো কি কি - রোবট দিয়ে কি কি সমস্যা সমাধান করা যায়

তাহলেই সেখানে থেকে আপনি রিপ্লাই পাবেন। এইরকম একাধিক নাম্বার থাকে তাদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য। আর যদি আপনি এই রকম হোয়াটসএ্যাপ নাম্বার সংগ্রহ করতে না পারেন তাহলে তাদের ওয়েবসাইট থেকে তাদের ই-মেইল ঠিকানা বরাবর মেইল করবেন। এইভাবেই তাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করতে হবে। একবার যোগাযোগ হয়ে গেলে তারা আপনাকে কল দিতে পারে। অনেক সময় বাংলা দো-ভাষি থাকলে তারা বাংলাতেই কথা বলে। এছাড়াও কলকাতার মেডিকেলগুলোতে বাংলাতেই কথা বলে থাকে আপনি আপনার মতো করে কথা বলতে পারেন। 

দো-ভাষি না থাকলে হিন্দিতে অথবা ইংরেজিতে কথা বলে থাকে এইরকম হলে আপনি না পারলে যে পারবে এইরকম কারো সাথে কথা বলাই নিবেন। এর পরে কিছুদিনের মধ্যে (২-৩ দিন) আপনাকে তারা ইনভাইটেশনের পিডিএফ পাঠাই দিবে। আপনার ভিসার আবেদন করা হয়ে গেলে যখন ভিসা হাতে পাবেন তখন সেই ভিসার কপি আবার ওই নাম্বারে পাঠিয়ে দিলে আপনি কবে নাগাদ যাবেন সেইটা বলে দিলে আপনাকে ফাইনাল এ্যাপোয়েন্টমেন্ট পাঠিয়ে দিবে। যদি কোন কারণবশত আপনি ওই সময়ের মধ্যে যেতে না পারেন তাহলে আগেই ওই যোগাযোগ মাধ্যম অনুসরণ করে এ্যাপোয়েন্টমেন্ট এর তারিখ বাড়িয়ে নিতে পারবেন কোন সমস্যা নাই। 

ভিসা আবেদনের লিংক পরিচিতি ও বিভিন্ন অপশান সম্পর্কিত ধারণা

চলুন তাহলে ইন্ডিয়ান ভিসা এপ্লিকেশনের এ টু জেড সম্পর্কে সকল কিছুর শিখানোর জন্য প্রথমেই ওয়েবসাইট এবং আবেদন লিংকের সাথে পরিচয় হই। চিত্রে দুইটা তির চিহ্ন দিয়ে দেখানো আছে এর মধ্যে একটি পেমেন্ট এর সাইটে নিয়ে যাবে এবং অন্যটি আবেদনের সাইটে নিয়ে যাবে। আবেদন সম্পূর্ণ হলে পেমেন্ট সাইটের কাজ শুরু হবে। বাংলাদেশিদের জন্য ইন্ডিয়ান ভিসা এপ্লিকেশন সেন্টারের প্রধান ও মূল লিংক এইটা। এখানে গেলেই পেমেন্ট এবং আবেদনের লিংক পেয়ে যাবো। 
ভিসা-আবেদনের-লিংক-পরিচিতি-ও-বিভিন্ন-অপশান-সম্পর্কিত-ধারণা

ভিসা আবেদনের সঠিক নিয়ম মেনে অনলাইন ফরম পূরণ 

মেডিকেল ভিসা আবেদনের নিয়ম যদি সঠিক না থাকে তাহলে আপনার ভিসা রিজেক্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই সর্বপ্রথম আপনাকে সঠিক ভাবে ফরম পূরণ করতে হবে। আবেদন তো চাইলেই যে কেউ দেখলেই করতে পারে কিন্তু নিয়ম অনুসারে জেনে বুঝে কইজন আবেদন করে থাকে! আসুন তাহলে সঠিক নিয়ম অনুসরণ করে আজকে আপনাদের একটি ফরম পূরণ করে দেখাই। আমি বিস্তারিতসহ ছবি সংযুক্ত করে বোঝানোর চেষ্টা করবো একটু ভালো ভাবে চিন্তা করলেই বুঝতে পারবেন।

স্টেপ-১ঃ উপরের চিত্রে দেখানো হয়েছে কোথায় আমরা আবেদনের লিংক পাবো। ওই দেখানো লিংক থেকে ক্লিক করলেই নিচের ইন্টারফেসটি দেখাবে। এখানে লাল তির দেওয়া অপশানে ক্লিক করলে সরাসরি আবেদনের লিংক এ চলে আসবে। সেখানেই আমরা আবেদনের ফরম পাবো। সবুজ তির দেওয়া অপশানে ক্লিক করলে আবেদন আইডি দিয়ে পূণরায় আগের আবেদনে যাওয়া যায়। 

ভাবছেন আইডি কই পাবেন? আবেদন সাবমিট না করে রেখে দেওয়া যায়। আপনার সুবিধা মতো যে কোন সময় আবার কারেকশান করতে পারবেন এই আইডি ব্যবহার করে। তবে আবেদন সাবমিট করে ফেললে আর এই টেমপোরারি আইডি কাজ করবেনা। নীল তির দেওয়া অপশান থেকে ভিসা আবেদন জমা দেওয়ার পরে ভিসা স্ট্যাটাস চেক করা যায়। আপনার ভিসা কি পরিস্থিতিতে আছে সেইটা দেখা যায়। 

আর এইটা দেখার জন্য বিজিডি নাম্বার প্রয়োজন হয় আর এই নাম্বারটি আবেদন সাবমিট করলেই পেয়ে যাবেন। গোলাপি রঙের তির চিহ্ন দেওয়া অপশান থেকে সাবমিট করা আবেদনের পূণরায় কপি ডাউনলোড করা যায়। অনেক সময় আবেদন সাবমিট করার পরে আবেদন সাবমিট হয়ে প্রথম অবস্থানে চলে যায়। এইরকম হলে ওই যে টেমপোরারি আইডি, পাসপোর্ট নাম্বার ও জন্ম তারিখ দিয়ে আবার ওই পিডিএফ কপি ডাউনলোড দেওয়া যায়।
ভিসা-আবেদনের-সঠিক-নিয়ম-মেনে-অনলাইন-ফরম-পূরণ

স্টেপ-২ঃ আবেদনের মেইন ফরম পাওয়ার জন্য প্রথমেই আমাকে এই কইটি তকথ্য পূরণ করে একটি আইডি তৈরি করতে হবে বা একাউন্ট ক্রিয়েট করা লাগবে সহজ ভাষায়। আমি পুরো সিস্টেমের পূরণকৃত ছবি দিয়েছি। আপনি যেই দেশ থেকে পূরণ করছেন সেই দেশের নাম, যেই এম্বাসিতে জমা দিবেন তার নাম, আপনার জাতীয়তা, জন্ম তারিখ, একই ই-মেইল ঠিকানা ২ বার লিখা লাগবে। এখানে বড় হাতের অক্ষর হবে ই-মেইলে। আপনি ছোট হাতের লিখলেও অটোমেটিক বড় হাতের হয়ে যাবে।

আপনি কবে নাগাদ ভারতে যাবেন তার সম্ভাব্য তারিখ উল্লেখ করবেন। এরপরে আপনি কোন ক্যাটাগরির ভিসার জন্য আবেদন করছেন সেইটা উল্লেখ করুন। আমরা যেহেতু মেডিকেল ভিসার আবেদন করবো তাই মেডিকেল সিলেক্ট করবো। এখানেই অনেক ক্যাটাগরি থাকবে আপনাকে দেখে এই ক্যাটাগরি দিতে হবে। এর পরে আপনি রুগী হিসেবে আবেদন করছেন নাকি রুগীর সহায়ক বা এটেন্ডেন্ট হিসেবে আবেদন করছেন সেইটা সিলেক্ট করেন। আমি এখানে রুগী হিসেবেই আবেদন করছি। এরপরে সিকিউরিটি কি বা কিছু অক্ষর থাকবে যেই ভাবে থাকবে সেই ভাবেই পূরণ করে কনটিনিউ করুন। 

ভিসা-আবেদনের-সঠিক-নিয়ম-মেনে-অনলাইন-ফরম-পূরণ

স্টেপ-৩ঃ এইবার আপনাকে প্রধান যেই ফরম সেইটা প্রদর্শন হবে। এখান থেকে উপরের তির চিহ্ন দেওয়া অংশে আইডি আছে এই আইডি কোথাও সেভ করে রাখুন। পরবর্তীতে হঠাৎ কম্পিউটার বন্ধ হয়ে গেলে বা অন্য যে কোন সমস্যায় পড়লে অথবা আবেদন অর্ধ-সম্পূর্ণ রেখে বের হতে চাইলে এই আইডির প্রয়োজন হবে। তাছাড়া আপনাকে আবার প্রথম থেকে আবেদন করে আসতে হবে এই আইডি হারিয়ে ফেললে।
ভিসা-আবেদনের-সঠিক-নিয়ম-মেনে-অনলাইন-ফরম-পূরণ

এরপরে ছকগুলো সঠিক তথ্য অনুসারে পূরণ করুন। আপনার পাসপোর্ট অনুসারে সকল তথ্য সঠিক ভাবে পূরণ করুন। কোন প্রকার ভুল তথ্য প্রদান থেকে বিরত থকুন। প্রত্যেকটা স্টেপ সম্পূর্ণ করার পর ভালো ভাবে চেক করে নিবেন। এই ফরমে সকল তথ্য বড় হাতের ইংরেজি অক্ষরে পূরণ করুন। আমি সম্পূর্ণ ছক পূরণ করে দেখাচ্ছি আশা করি দেখলেই বুঝতে পারবেন। বুঝতে সমস্যা হলে কমেন্ট করে জানাবেন। কেউ যদি প্রতিবন্ধী হয়ে থাকে আর তার কার্ড থাকলে বা প্রমাণ থাকলে ভিজেবল আইডেন্টিফিকেশন মার্ক এর জায়গাতে সেইটা উল্লেখ করুন। 

স্টেপ-৪ঃ এই স্টেপে আপনার ঠিকানা সংক্রান্ত সকল তথ্য প্রদান করা লাগবে। বর্তমান ঠিকানা আপনার যেইটা আছে সেইটা দিতে হবে। আপনি চাইলে আপনার স্থায়ী ঠিকানাকেই আপনার বর্তমান ঠিকানা হিসেবে প্রদান করতে পারেন। বর্তমান ঠিকানা আর স্থায়ী ঠিকানা এক হলে স্থায়ী ঠিকানার ঘরে বক্সের মধ্যে ক্লিক দিলেই হবে। তবে বর্তমান আর স্থায়ী ঠিকানা আলাদা হলে কোন সমস্যা নাই। কিন্তু বর্তমান ঠিকানা অনুসারে ওই এলাকা যেই এম্বাসির আওতাভূক্ত সেইখানে জমা দিতে হবে আবেদন।  আপনি চাকুরি করার কারণে যদি বাইরে থাকেন তাহলে ওই এলাকাতেই আবেদন করাই শ্রেয়। 
ভিসা-আবেদনের-সঠিক-নিয়ম-মেনে-অনলাইন-ফরম-পূরণ

এইখানে বাবা-মায়ের তথ্য প্রদান করতে হবে। এইসকল তথ্য আপনার পাসপোর্ট অনুসারেই সঠিক ভাবে পূরণ করতে হবে। কোন কারণে যদি আপনার এনআইডি বা জন্ম নিবন্ধনের সাথে অমিল থাকে পাসপোর্টের তথ্য তাহলেও পাসপোর্ট অনুসারে তথ্য প্রদান করুন। আর যত দ্রুত সম্ভব আপনার এনআইডি এবং পাসপোর্ট সংশোধন করে তথ্যের মিল রাখুন। 
ভিসা-আবেদনের-সঠিক-নিয়ম-মেনে-অনলাইন-ফরম-পূরণ

নিম্নের ছকে আপনি বিবাহিত নাকি অবিবাহিত সেই তথ্য প্রদান করুন। বিবাহিত হলে স্ত্রীর নাম, জাতীয়তা, জন্মস্থান, রিজিওন এই তথ্যগুলো পূরণ করুন। অবিবাহিত হলে না পূরণ করুন। এরপরের অপশানে আপনার দাদা-দাদি কেউ পাকিস্থানের নাগরিক কিনা সেই তথ্য জানতে চাইবে। কেউ নাগরিক থেকে থাকলে হ্যাঁ দিন। আর না থাকলে না দিন। তবে যদি হ্যাঁ দেন তাহলে হয়তোবা আপনার ভিসা ইস্যু না হতেও পারে। সাধারণত মিত্র দেশগুলোর সাথে কোন প্রকার ইস্যু থাকলে এইরকম হতে পারে এইটা স্বাভাবিক একটা বিষয় এবং রাজনৈতিক বিষয়। আমরা এখানে কোন রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করবোনা। 

ভিসা-আবেদনের-সঠিক-নিয়ম-মেনে-অনলাইন-ফরম-পূরণ
অবিবাহিত অপশানটি সিলেক্ট করলে আর কোন তথ্য চাইবেনা। নিচের ইন্টারফেসের মতো দেখাবে।

ভিসা-আবেদনের-সঠিক-নিয়ম-মেনে-অনলাইন-ফরম-পূরণ

এই তথ্য ছকে আপনার পেশা উল্লেখ করুন। আমি স্টুডেন্ট দিলাম। আপনাদের যার যেইটা সেইটা প্রদান করুন। আপনি স্টুডেন্ট হলে আপনি কার প্রযত্নে আছেন বা আপনার অভিভাবকের পেশা উল্লেখ করুন এবং তার ঠিকানা উল্লেখ করুন। আপনি চাকুরী করলে চাকুরীরত স্থানের ঠিকানা প্রদান করুন। মোবাইল নাম্বার উল্লেখ করলেও হবে না করলেও কোন সমস্যা নাই। 

আরও পড়ুনঃ কিভাবে ঘরে বসেই মেয়েরা ইনকাম করবে

লাল রঙের স্টার চিহ্ন থাকা অপশানগুলো পূরণ করা বাধ্যতামূলক। আপনি যদি মিলিটারি বা সেমি মেলিটারি অথবা পুলিশ বা সিকিউরিটি কোন বাহিনীর সদস্য হয়ে থাকেন তাহলে তার তথ্য দিয়ে পূরণ করুন। আমিতো স্টুডেন্ট তাই না করে দিয়ে সেভ এন্ড কনটিনিউ করলাম। 
ভিসা-আবেদনের-সঠিক-নিয়ম-মেনে-অনলাইন-ফরম-পূরণ
আপনি যদি এখন মনে করেন যে আর আবেদন করবেন না পরে করবেন আবেদন আপনার কাছে তথ্য নাই তাহলে সেভ এন্ড টেমপোরারি এক্সিট দিয়ে বের হয়ে যাবো। পরবর্তীতে টেমপোরারি আইডি দিয়ে আবার লগইন করলে এই তথ্যগুলো থেকে যাবে। 

স্টেপ-৫ঃ বামপাশে বাংলাদেশের যেই ডাক্তারকে বা যেই মেডিকেলে দেখাইছেন সেইটার তথ্য দেওয়া লাগবে। ডান পাশে আপনি যেই মেডিকেলে দেখাবেন ইন্ডিয়াতে সেই মেডিকেলের তথ্য দেওয়া লাগবে। এইসব কিছু মেডিকেল পেপারস এর সাথে এবং এ্যাপোয়েন্টমেন্ট বা মেডিকেল ইনভাইটেশনের সাথে মিল থাকতে হবে এবং সঠিক ভাবে পূরণ করতে হবে। এর পরে আপনি কোন জাতীয় সমস্যায় ভূগছেন তা উল্লেখ করুন। সাধারণত মেডিকেল ভিসা ৬ মাসের বেশি ইস্যু করে না তাই আমি ৬ মাস চেয়েছি বাকিটা কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিবে আমাকে কত দিনের ভিসা দিবে। 

ভিসা-আবেদনের-সঠিক-নিয়ম-মেনে-অনলাইন-ফরম-পূরণ

আমার মেডিকেল পেপারস দেখে সেই অনুসারে তারা বিবেচনা করবে। আপনি বেশি দিন চাইতে পারেন তবে এখানে যেই কইদিন চাইবেন তা মাস হিসেব করে উল্লেখ করতেক হবে যেমন- ১২ মাস (যদিও এক বছর কিন্তু সেইটা মাসে উল্লেখ করতে হবে)। এরপরে আপনি যেই বর্ডার দিয়ে প্রবেশ করবেন সেই বর্ডারের নাম এবং যেই বর্ডার দিয়ে বের হবেন সেই বর্ডারের নাম উল্লেখ করুন। এর আগে আপনি ভারতে গেছেন কিনা সেইটা উল্লেখ করতে হবে না গিয়ে থাকলে না এবং গিয়ে থাকলে হ্যাঁ দিন আর হ্যাঁ দিলে ভিসা নম্বর, ভিসার প্রকার, ইস্যুর তারিখ, কোথায় গিয়েছিলেন এইসব উল্লেখ করতে হবে। 

আমার যাওয়া নাই তাই আমি না দিলাম। এরপরে আমার আবেদন আগে রিফিউজ বা বাতিল হয়েছে কিনা সেইটা উল্লেখ করতে হবে। অর্থাৎ এর আগে আপনি আবেদন জমা দিয়ে সেইটা বাতিল হয়েছে কিনা সেইটা উল্লেখ করতে হবে। আমার হয়নি আর হলেও সেইটা দেওয়া যাবেনা। আমি শেষ ১০ বছরের মধ্যে কোন কোন দেশ ঘুরেছি তা দিতে হবে। যদি ভারতে গিয়ে থাকি শেষ ১০ বছরে তাহলে সেইটা দেওয়া লাগবেনা, এর বাইরে কোন দেশে যাওয়া থাকলে শুধু দেশের নাম উল্লেখ করতে হবে। 
ভিসা-আবেদনের-সঠিক-নিয়ম-মেনে-অনলাইন-ফরম-পূরণ

শেষ ৩ বছরের মধ্যে আপনি সার্কভূক্ত কোন দেশে গেছেন কিনা সেইটা উল্লেখ করুন। না গিয়ে থাকলে না দিন। এরপরে আপনার ইন্ডিয়াতে একটা রেফারেন্স এর প্রয়োজন হবে যেইটাতে আপনি যেই মেডিকেলে যাবেন সেই মেডিকেলে সব কিছু তথ্য দিবেন। এর বাংলাদেশে আপনার একজনের রেফারেন্স লাগবে সেইখানে আমি আমার বাবার দিলাম আপনি চাইলে আপনার ইচ্ছামতো যাকে খুশি দিতে পারেন। আপনার পাসপোর্টে যেই ইমার্জেন্সি ব্যক্তি এবং ঠিকানা আছে চাইলে তারটাও ব্যবহার করতে পারেন আবার তারটা ব্যবহার না করলেও কোন সমস্যা নাই। এর পরে সেভ এন্ড কনটিনিউ করে পরবর্তী অপশানে চলে যান। 

স্টেপ-৬ঃ এখানে সকল তথ্য না দিয়ে পূরণ করতে হবে। যদি হ্যাঁ দিয়ে পূরণ করেন তাহলে আবেদন সাবমিট হবেনা। আর যদি কোন ভাবে সার্ভার জটিলতার কারণে সাবমিট হয়ে যায় তাহলে পূণরায় আবেদন করবেন তাছাড়া এই ভাবে ভুল আবেদন জমা দিলে আপনার ভিসা ইস্যু হবেনা। আপনার কোন পুলিশ কেস বা ক্রিমিনাল কেস এই জাতীয় কোন কেস ফাইল আছে কিনা সেই সম্পর্কিত তথ্য এইগুলা। এরপরে অঙ্গীকার নামায় ক্লিক দিয়ে পরবর্তী অপশানে চলে যান। 
ভিসা-আবেদনের-সঠিক-নিয়ম-মেনে-অনলাইন-ফরম-পূরণ
স্টেপ-৭ঃ এই স্টেপে আপনার ছবি আপলোড দেওয়া লাগবে। অবশ্যই ছবিটি জেপিজি অথবা জেপিইজি ফরমেটে আপলোড দিতে হবে ৩০০ পিক্সেল বাই ৩০০ পিক্সেল মাপে। এর পরে পরবর্তীতে চলে যেতে হবে। 
ভিসা-আবেদনের-সঠিক-নিয়ম-মেনে-অনলাইন-ফরম-পূরণ

স্টেপ-৮ঃ এইখানে আসার পরে আপনি ইন্ডিয়াতে গিয়ে কোথায় থাকবেন সেই তথ্য দেওয়া লাগবে আপনার যদি পরিচিত কোন ঠিকানা, হোটেল বা আত্মীয় থাকে তাহলে তার ঠিকানা এখানে উল্লেখ করতে হবে নইতো অনলাইন থেকে আপনার মেডিকেলের আশেপাশের কোন একটা হোটেলের তথ্য খুজে নিয়ে সেই তথ্য প্রদান করুন। আমি একটি হোটেলের নাম, ঠিকানা, নাম্বার অনলাইন থেকে নিয়ে দিলাম। 

ভিসা-আবেদনের-সঠিক-নিয়ম-মেনে-অনলাইন-ফরম-পূরণ
স্টেপ-৯ঃ ৮ নং স্টেপ পার হলে পুরো আবেদনটি রিভিউ দেয়ার অপশান আসবে যদি কোন কারেকশান থাকে তাহলে মডিফাই অপশান থাকবে সেখানে ক্লিক করে আবার ঠিক করতে পারবেন আর যদি সঠিক থাকে তাহলে ভেরিফাই এন্ড কনটিনিউ করলে আবেদন সাবমিট হয়ে যাবে। আর এর সাথেই আপনাকে একটা পিডিএফ কপি দিবে এবং আপনার আবেদন শেষ হবে। 
ভিসা-আবেদনের-সঠিক-নিয়ম-মেনে-অনলাইন-ফরম-পূরণ

ভিসা এপ্লিকেশনের পেমেন্ট ও রেজিষ্ট্রেশন পদ্ধতি

এতোক্ষণ ধরে মেডিকেল ভিসা আবেদনের নিয়ম জানলাম এবং আবেদন করলাম। এইবার ওই আবেদনে পেমেন্ট করি চলুন। পেমেন্ট করার জন্য প্রথমেই আমাদেরকে পেমেন্ট এর লিংক এ যেতে হবে। এই লিংকে প্রবেশ করতেই প্রথমে আপনাকে একটি নোটিশ দেখাবে সতর্কতামূলক। 
ভিসা-এপ্লিকেশনের-পেমেন্ট-ও-রেজিষ্ট্রেশন-পদ্ধতি
সেইটা কেটে দিয়ে আবেদনের মোবাইল নাম্বারটি দিয়ে প্রসেস এ ক্লিক করুন। এইবার নিচের ইমেজের মতো ইন্টারফেস আসবে। 
ভিসা-এপ্লিকেশনের-পেমেন্ট-ও-রেজিষ্ট্রেশন-পদ্ধতি

মোবাইল নাম্বারটি দেওয়ার পরে নিচের ছবিটির মতো ইন্টারফেস আসবে। এখানে সবার উপরে ছবি আপলোড দেওয়া লাগবে যদি অটো না আসে। তবে অটো আপনার আবেদনে আপলোডকৃত ছবি চলে আসবে। এর পরে মোবাইল নাম্বার থাকবে তার নিচের ঘরে আপনার নাম, ইমেইল ঠিকানা এবং আপনার মতো করে একটি স্ট্রং বা শক্তিশালী পাসওয়ার্ড দিয়ে পরবর্তী করুন। এইবার আপনার বিজিডি নাম্বারসহ আরো বেশ কিছু তথ্য চাইবে যেইগুলা ক্রমান্বয়ে তথ্য প্রদান করুন এবং পরবর্তীতে চলে যান। এই তথ্যগুলো হয়তো না চাইতেও পারে। 
ভিসা-এপ্লিকেশনের-পেমেন্ট-ও-রেজিষ্ট্রেশন-পদ্ধতি

শেষের অপশানে আপনার পেমেন্ট মেথড বা আপনি কোন মাধ্যম দিয়ে পেমেন্ট করবেন সেইটা দেখাবে আপনার মাধ্যমটি সিলেক্ট করে স্লট দেখাবে সেই স্লট অনুসারে আপনার পছন্দমতো সিলেক্ট করে বিকাশ, নগদ, রকেট বা ব্যাংকিং মাধ্যম এবং কার্ড ব্যবহার করে পেমেন্ট সম্পূর্ণ করুন। সবশেষে আপনাকে আরেকটি পেমেন্ট কপি প্রদান করবে যেইটা আপনাকে সংগ্রহ করতে হবে। আর মনে রাখবেন পেমেন্ট করতে গেলে মোট ৮০০ টাকা এবং ট্রানজেকশান চার্জ বাবদ ২৪ টাকা সর্বমোট ৮২৪ টাকা কাটবে। নিম্নে পুরো প্রসেস এর ছবি প্রদান করা হলো-
ভিসা-এপ্লিকেশনের-পেমেন্ট-ও-রেজিষ্ট্রেশন-পদ্ধতি

পরবর্তী ছবি,
ভিসা-এপ্লিকেশনের-পেমেন্ট-ও-রেজিষ্ট্রেশন-পদ্ধতি

তথ্যগুলো সঠিক ভাবে পূরণ করতে হবে।
ভিসা-এপ্লিকেশনের-পেমেন্ট-ও-রেজিষ্ট্রেশন-পদ্ধতি

সব কিছু ঠিক থাকলে কনফার্ম করে দিবো পেমেন্ট এর জন্য।

পেমেন্ট মেথড সিলেক্ট করে পরের স্টেপে।
ভিসা-এপ্লিকেশনের-পেমেন্ট-ও-রেজিষ্ট্রেশন-পদ্ধতি

পেমেন্ট সম্পূর্ণ হলে এইরকম আসবে। এখান থেকেই প্রিন্ট করে এই কপি সঙ্গে রাখতে হবে।
ভিসা-এপ্লিকেশনের-পেমেন্ট-ও-রেজিষ্ট্রেশন-পদ্ধতি

আবেদন সম্পূর্ণ হওয়ার পরে ইন্ডিয়ান ভিসা এপ্লিকেশন সেন্টারে জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া

এইবার আপনার আবেদনটি সম্পূর্ণ হওয়ার পরে যেই সময় এবং তারিখ পাবেন ওই সময় ওই দিনেই আপেনাকে সঠিক সময় মতো উপস্থিত হয়ে উপরে যেই ডকুমেন্ট বলা হয়েছিলো সেইগুলা সাথে করে নিয়ে আবেদন এবং পেমেন্ট কপি সাথে নিয়ে ভিসা এপ্লিকেশন সেন্টারে জমা দিতে হবে। হয়তো আপনাকে লাইনে দাঁড়াতে হতেও পারে আবার না দাঁড়াতে হতেও পারে এইটা পরিস্থিতির উপরে ডিপেন্ট করবে।
ডকুমেন্ট সাজানোর নিয়মঃ 
  • পেমেন্ট কপি
  • আবেদন কপি (আবেদন কপিতে অবশ্যই আবেদনের সময় দেওয়া ওই ছবিটি আঠা দিয়ে সংযুক্ত করতে হবে)
  • এনআইডি বা জন্ম নিবন্ধন
  • বিদ্যুৎ বিলের কপি
  • পেশার প্রমাণপত্র
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট/ডলার ইনডোর্স/ডুয়েল কারেন্সি কার্ড/ট্রাভেল কার্ড
  • এ্যাপোয়েন্টমেন্ট এর কপি
  • মেডিকেল পেপারস
  • পাসপোর্ট এর ফটোকপি
  • পূর্বের সর্বশেষ ভারতীয় ভিসার কপি (যদি থাকে)

আবেদন জমা দেওয়ার পরবর্তী করণীয়

আবেদন লাইন ধরে বা বসে থেকে আপনার সিরিয়াল আসার পরে আপনাকে কাউন্টারে গিয়ে ফাইলগুলো জমা দিতে হবে। সব কিছু চেক করে ঠিক থাকলে আপনার ফাইল জমা নিয়ে আরেকটি কাউন্টারে পাঠিয়ে দিবে আপনার ফিঙ্গার নেওয়ার জন্য এবং আরো কিছু ফরমালেটিস পূরণ করার জন্য। এর পরে আপনাকে একটি ই-টোকেন ধরাই দিবে। পরবর্তীতে ভিসার কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে আপনার ফোনে ম্যাসেজ আসবে। কইদিন সময় লাগতে পারে এইটা সঠিক ভাবে বলা যায়না। 

আরও পড়ুনঃ হঠাৎ ওজন বাড়ার কিছু প্রধান কারণ

ম্যাসেজ আসলে ওই ই-টোকেন নিয়ে আবার ওই ভিসা সেন্টারে গেলে আপনাকে ওই টোকেন জমা নিয়ে পাসপোর্ট ব্যাক দিবে। আর পাসপোর্ট ব্যাক দেওয়ার পরে আপনি চেক করেই বুঝতে পারবেন যে আপনাকে ভিসা দিয়েছে কিনা। ভিসা না দিলে আপনার পাসপোর্টে কোন ভিসা স্টিকার লাগানো হবেনা। আর ভিসা ইস্যু হলে আপনার পাসপোর্টে স্টিকার ভিসা লাগানো থাকবে। 

সাবধানতা বা বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন - ভিসা রিজেক্ট বা বাতিলের কারণসমূহ

মেডিকেল ভিসা আবেদনের নিয়ম বহিঃর্ভূত কোন কিছু করা যাবেনা। কোন প্রকার নিজে তৈরিকৃত বা বানানো তথ্য এবং ডকুমেন্ট প্রদান করা যাবেনা। অনেকেই ভূয়া তথ্য দিয়ে ডকুমেন্ট বানাই দিয়ে থাকেন। ভুলেও এইরকম কাজ করবেন না এতে করে আপনি ভিসা থেকে বঞ্চিত হয়ে যেতে পারেন। এছাড়াও ধরতে পারলে আইনানুগ ব্যবস্থাও নিতে পারে কর্তৃপক্ষ। বড় কথা হচ্ছে আপনার পাসপোর্ট ব্ল্যাকলিস্ট করে দিতে পারে যার ফলে আপনি আর কোনদিন ইন্ডিয়ান ভিসা পাবেন না। এছাড়াও কোন প্রকার ভুল ও অসামাঞ্জস্যপূর্ণ তথ্য প্রদান করলেও আপনার ভিসা আবেদনটি বাতিল হয়ে যেতে পারে। অসম্পূর্ণ তথ্য প্রদান করলেও আপনার ভিসা আবেদন বাতিল হয়ে যেতে পারে। 

উপরোক্ত বিস্তারিত তথ্যগুলোই মূলত ভিসা রিজেক্টের প্রধান কারণ। তাই প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই সাবধানতা অবলম্বন করা জুরুরী। আর এইসব তথ্য প্রদানে অনেক সতর্ক থাকবো। এতে করে ভিসা রিজেক্ট হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম থাকে। আশা করি আমার এই দেখানো পদ্ধতি অবলম্বন করলে ইন-শা-আল্লাহ আপনার ভিসা রিজেক্ট হবেনা। আমার দীর্ঘ ৩ বছরের ইন্ডিয়ান ভিসা আবেদনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। 

মন্তব্য

আজকের এই লিখনিতে ইন্ডিয়ান ভিসা এপ্লিকেশনের এ টু জেড শিখানোর চেষ্টা করেছি। অবশ্যই ভিসা আবেদন করার সময় উপরে বর্ণনাকৃত সাবধানতা গুরুত্বসহকারে মেনে ভিসা আবেদনটি সম্পূর্ণ করবেন। এছাড়াও সঠিক নিয়ম মেনেই আবেদন করবেন এতে করে আপনার ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে এবং রিজেক্ট হওয়ার সম্ভাবনাও থাকেনা। আপনার আবেদন যদি কোন প্রকার ভুল তথ্য বা অসৎ পন্থা অবলম্বন করে তাহলে আপনার ভিসা রিজেক্ট হতে পারে এমনকি আপনার আইনানুগ ব্যবস্থাও নিতে পারে। এছাড়া ভিসা আবেদনে তেমন কোন জটিলতা নেই। আপনারা চাইলেই নিজে নিজেই বাসায় বসে থেকে আপনার এই ভিসা আবেদনটি সম্পূর্ণ করতে পারেন।

পরিশেষে সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। সেই সাথে ধন্যবাদ জানাই আজকের এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত কষ্ট করে পড়ার জন্য। আশা করি এই পোস্টটি আপনাদের অনেক কাজে আসবে। এইরকম পোস্ট নিয়মিত পেতে আমাদের সাথেই থাকুন এবং আপনারা কোন ধরনের কনটেন্ট চাইছেন বা কি চাচ্ছেন সেইটা কমেন্ট করুণ আমি ইন-শা-আল্লাহ আপনাদের চাহিদা অনুসারে সকল ধরনের কনটেন্ট তৈরি এবং শেয়ার চেষ্টা করবো। আমার সকল পাঠকের মঙ্গল কামনা করছি আসসালামু আলাইকুম।  

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ABM Creative IT'র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url