আমাদের চারপাশে এমন অনেক গাছপালা, লতাপাতা আছে যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের
কর্ম-কর্মকান্ডের সাথে জড়িত আছে। আমরা হয়তোবা সেইটা কোন সময়ই লক্ষ্য করি না আবার
অনেক সময় লক্ষ্য করলেও হয়তো বা সেইটার কার্যকারিতার সম্পর্কে অবগত নেই।
আর এইটা হয়তোবা কারো পক্ষ্যে সম্ভবও না। আর এর মূল কারণ হলো আমাদের চারপাশে
অনেক গাছপালা এবং লতাপাতা আছে এতোগুলো সম্পর্কে জানা কারোই পক্ষ্যে
সম্ভব নয়।
থানকুনি গাছের পরিচিতি
আমরা সাধারণত এই গাছটা বিশেষ করে গ্রামের দিকে দেখতে পায়। এই গাছটি উদ্ভিদ জাতীয়
একটি গাছ যাকে লতাও বলা যায়। গাছটি বিভিন্ন গিরা থেকে শেকড় বের হয়ে মাটি আঁকড়ে
ধরে এবং তার মতো করে বিস্তির্ণ জায়গাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। গাছের পাতাটি অনেকটাই লাভ
আকৃতির এবং হালকা একটু গোল। এই গাছটির বিভিন্ন এলাকাভেদে বিভিন্ন নামকরণ থাকতে
পারে তবে বেশিরভাগ মানুষই এই গাছটিকে থানকুনি নামেই চিনে থাকে। এই নামটিই বিভিন্ন
বই-পুস্তকে থানকুনি নামেই বেশ খ্যাত। বর্তমানে অনেকেই এখন এই গাছটিকে বাসায়
বিভিন্ন ভাবে চাষ করে থাকে।
মানুষ আস্তে আস্তে সচেতন হচ্ছে যার ফলে এই গাছের
গুণাগুণ সম্পর্কে জানতে পেরে বাসাতেই টবে বা বিভিন্ন ভাবে পরিচর্য করছে। সাধারণত আমরা নিজেরাই যেই গাছপালা এবং লতাপাতা ব্যবহার করে বিভিন্ন ঘরোয়া
চিকিৎসা করে থাকি সেই পদ্ধতিকেই বলে ভেষজ চিকিৎসা বা আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা।
আজকে সেই রকমি একটা ভেষজ উদ্ভিদের কিছু ঔষুধি গুণাগুণ নিয়ে আপনাদের সাথে
আলোচনা করতে চলেছি। চলুন তাহলে সেই বিষয়টা নিয়ে জানা যাক। চলুন তাহলে এই বিশেষ গাছটির উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নেই।
থানকুনি গাছের উপকারিতা
থানকুনি গাছের অনেক উপকারিতা আছে। প্রত্যেকটি গাছেরই বিভিন্ন গুণাগুণ থাকে যা
সকলের ক্ষেত্রে জানা সম্ভব হয়না। তবে এলাকাভেদে বিভিন্ন ভাবে এই গাছের ব্যবহার
হয়ে থাকে। চলুন তাহলে আজকে এই গাছের কিছু উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা
যাক।
অনেকেরই অতিরিক্ত ঠান্ডা, অতিরিক্ত গরম আবার খাদ্যাভ্যাসের জন্য বদ হজম হয়ে
থাকে যার মাধ্যমে আমাশয় এর সৃষি।ট হয়। এই আমাশয়কে অনেকে সাদা আমাশয় ও বলে থাকে।
এইরকম হলে শুধু পেটের মধ্যে মোচড় দেয় এবং পেট কামড়ায়। বারে বারে টয়লেটে যেতে হয়
কিন্তু পায়খানা হয় না। যদি এইরকম উপসর্গ দেখা যায় তাহলে
এই থানকুনি গাছের শেকড়
কিছু তুলে ভালো ভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিবেন। তারপরে সেইগুলো খালি
মুখে চিবিয়ে রস খাবেন আর যদি খালি শেকড় চিবিয়ে খেতে সমস্যা হয় তাহলে সামান্য
পরিমাণ চিনি নিয়ে চিবিয়ে খেতে পারেন। ইন শা আল্লাহ ২-৩ বার খেলেই আপনার সাদা
আমাশয় ভালো হয়ে যাবে।
লিভারকে সুরক্ষা এবং সুস্থ্য রাখে
থানকুনি পাতার রস লিভারের জন্য খুবই কার্যকারি ভূমিকা রাখে। থানকুনি পাতার রস
সেবন করলে শরীরের টক্সিন দূর করে এবং লিভারকে সুরক্ষিত রাখে। যার ফলে লিভার
পরিষ্কার থাকে এবং লিভারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে ও বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে
শক্তিশালী করে তুলে।
ত্বকের যত্নে সহায়ক হিসেবে কাজ করে
থানকুনি পাতা ত্বকের জন্য অত্যান্য উপকারি একটি আয়ুর্বেদিক। প্রথমেই থানকুনি
পাতাকে ভালো ভাবে পরিষ্কার করে মিক্সার অথবা মিক্সার জাতীয় কিছু দিয়ে মেথি
বানিয়ে নিবেন। এরপর এটি নিয়ম করে প্রত্যেকদিন ঘুমানোর আগে মুখে লাগিয়ে নিন।
কিছু দিন এই ভাবে ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি পাবে সেই সাথে ত্বকের
বিভিন্ন দাগ বা স্পট, ব্রণ, ক্ষত জাতীয় সকল কিছুকে তুলে ফেলে এবং ত্বককে করে
তুলে আরো মসৃণ এবং লাবণ্যময়। এছাড়াও এই থানকুনির অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণাগুণ
ত্বকের লালচে ভাবকে দূর করে দেয়।
চুল পড়া বন্ধ করতে থানকুনি পাতার ব্যবহার
থানকুনি পাতার রস বা নির্যাস যদি নিয়মিত চুলে দেওয়া যায় বা সেবন করা যায় তাহলে
চুল পড়া বন্ধ হয় এবং মাথায় নতুন নতুন চুল গজাঁয়। এছাড়াও চুলের গোড়াকে আরো শক্ত
ও মজবুত করে তোলে। এই থানকুনি পাতার রস ব্যবহার বা সেবন না করেও এই পাতার মেথি
বানিয়ে সকালে মাথায় দিয়ে এর রস না শুকানো পর্যন্ত মাথায় রেখে দিতে হবে এবং
গোসলের সময় মাথা ভালো ভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এতে করেও খুব ভালো ফলাফল পাওয়া
যায়।
দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
থানকুনি পাতার নির্যাস শরীরের জন্য খুবই কার্যকারী ভূমিকা পালন করে থাকে।
থানকুনি পাততে আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান যা শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে
শক্তিশালী করে তোলে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়। এই
থানকুনি পাতার নির্যস সেবনের ফলে ঠান্ডা, কাঁশি এবং অন্যান্য সংক্রামক রোগ থেকে
নিজেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয় সেই সাথে এই থানকুনি বিভিন্ন
ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস থেকে রক্ষা করে থাকে এবং শরীরকে সুস্থ্য রাখতে সাহায্য
করে।
আলসারের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে থানকুনি
থানকুনি পাতার রস/নির্যাস আলসারের জন্য একটি নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। এই থানকুনি
যেমন লিভারকে প্রটেক্ট করে সুরক্ষা রাখে তেমনি আলসারের প্রতিষেধক হিসেবেও কাজ
করে। পেটের ব্যাথা ও আলসার প্রতিরোধে এই থানকুনি পাতার কোন তুলনা নাই।
থানকুনি পাতার রস নিয়মিত সেবন করলে পেট পরিষ্কার থাকে। পেটের মধ্যেকার
ক্ষতিকারক পদার্থগুলোকে বের করে আনে এবং পেটকে রাখে সুরক্ষিত যার ফলে হজমে কোন
প্রকার অসুবিধা হয়না। পেটের গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম এইসব সমস্যার জন্য
প্রাত্যহিক সকালে খালি পেটে এই থানকুনি পাতার রস উপকারী।
ব্যাথা নিরাময়ে বিশেষ ভূমিকা রাখে
থানকুনি পাতার বহুগুণের মধ্যে ব্যাথা নিরাময় একটি বড় গুণ। থানকুনি পাতার
অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ব্যাথা ও সংক্রামণ কমাতে
সাহায্য করে। শরীরের বিভিন্ন রকমআঘাত জনিত ব্যাথা, দাগ, চর্মরোগ ইত্যাদির
ক্ষেত্রে এই থানকুনি পাতার মেথি লাগিয়ে দিলে খুবই দ্রুত উপসম হয়ে যায়।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে ও মানসিক চাপ কমায়
থানকুনি পাতার উপকারিতার শেষ নেই। এই থানকুনি পাতামানুষের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি
করতেও গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা রাখে। থানকুনি পাতার প্রথান উপাদন হলো “ম্যাডেক্যাসোসাইড” ও
“অ্যাসিয়াটিকোসাইড” যা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতাকে সুস্থ্য রাখে
পাশাপাশি এই কার্যক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে। সেই সাথে মানসিক চাপ কমাতেও মুখ্য অবদান
রাখে।
রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখতে কাজ করে
থানকুনি পাতা শরীরের রক্ত সঞ্চালনকে ঠিক রাখতে বিশেষ ভুমিকা রাখে। শরীরের
প্রত্যেকটি রক্তনালিকে পরিষ্কার ও বাধামুক্ত রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও এই
থানকুনি পাতা শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও কাজ করে যার ফলে উচ্চ রক্তচাপ এর ভয়
অনেকটাই কমে যায়।
থানকুনি গাছের অপকারিতা
প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই ভালো দিক যেমন থাকে তেমনি খারাপ দিকটাও থাকে। খারাপ দিক না
থাকলে ভালো দিকটার মূল্যায়ণ ঠিকমতো হয় না তাই এটি থাকাও জুরুরি। এই থানকুনি গাছের
যেমন ভালো দিক আছে তেমনি এর কিছু খারাপ দিন আছে। আসলে খারাপ দিক বললেও ভুল হবে
বলা যায় এইটা এই থানকুনি গাছের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। নিম্নে এর অপকারিতা বা
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া উল্লেখ করা হলোঃ
পরিমাণের বাইরে সেবনে বিষক্রিয়া
বেশি ঘুম দেখা দিতে পারে
ডায়রিয়া বা পেট খারাপ হতে পারে
রক্তে জমাট বাঁধায় সমস্যা
চুলকানি জাতীয় সমস্যা দেখা দিতে পারে
পরিমাণের বাইরে সেবনে বিষক্রিয়া
প্রত্যেকটা ঔষুধের জন্য নিয়ম বাধ্যতামূলক। কারণ অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো ফল বয়ে
আনতে পারে না। তাই পরিমাণ মতো সেবন করতে হবে যেনো ভালো করতে গিয়ে হিতে বিপরীতে
খারাপ কিছু না হয়। তাই নিয়ন্ত্রণ করে পরিমাণ মতো এই ঔষুধ সেবন করা
প্রয়োজন।
বেশি ঘুম দেখা দিতে পারে
থানকুনি পাতার রস সেবনের ফলে স্নায়ুকে সিথিল করে দেয়। যার ফলে আপনি যদি
অতিরিক্ত সেবন করে ফেলেন েএই থানকুনি পাতার রস তাহলে আপনার অতিরিক্ত বা
বেশি ঘুম দেখা দিতে পারে যা আপনার শরীরকে অলস প্রকৃতি করে দিতে পারে।
ডায়রিয়া বা পেট খারাপ হতে পারে
অতিরিক্ত সেবনের ফলে ডায়রিয়া বা পেট খারাপ জাতীয় বিভিন্ন রকমের সমস্যার সৃষ্টি
হতে পারে। পরিমাণের বাইরে খেলে দেখা যাবে যেইটার কার্যকারিতার প্রভাবে সমস্যা
ভালো হয়ে যাওয়ার কথা সেইখানে আরো বেশি সমস্যা হতে পারে এমনকি হজমেও সমস্যা হতে
পারে। আর হজমে সমস্যা দেখা দিলে পেটের অর্ধেক কার্যকারিতা কমে যাবে এবং বিভিন্ন
রকমের সমস্যার সৃষ্টি হবে।
রক্তে জমাট বাঁধায় সমস্যা
থানকুনি পাতার উপাদান রক্তকে পাতলা করে দেয়। যার ফলে রক্ত তুলনার চেয়ে বেশি
পাতলা হয়ে যায় এই থানকুনি পাতার রস সেবনের ফলে। তাই অতিরিক্ত সেবন করা যাবেনা।
আবার যারা অস্ত্র পাচারের জন্য রক্ত জমাট বাঁধার জন্য নিয়মিত ঔষুধ সেবন করেন
তাদের জন্য এই থানকুনি পাতার রস বিপজ্জনক হতে পারে। যেহেতু এই থানকুনি পাতার
প্রাকৃতিক উপাদান রক্তকে জমাট না বাঁধিয়ে পাতলা করতে সাহায্য করে থাকে।
চুলকানি জাতীয় সমস্যা দেখা দিতে পারে
থানকুনি পাতার রস সেবনের ফলে অনেকের ক্ষেত্রেই শরীরে বিভন্ন রকমের চুলকানি বা
লালচে ভাব দেখা দেয় যার প্রধান কারণ হিসেবে মনে করা হয় ওই ব্যক্তির শরীরে আগে
থেকেই চুলকানি বা এলার্জী আছে। যারা আগে থেকেই এই এলার্জী বা চুলকানিতে ভূগছেন তাদের জন্য এই থানকুনি সাবধানতার সহিত ব্যবহার
করা উচিত। সতর্ক তা অবলম্বন করা অতীব জরুরী প্রত্যেকটি
ক্ষেত্রেই।
থানকুনির ব্যবহার বিধি
থানকুনি পাতার নির্যাস সেবন
মেথি বানিয়ে ব্যবহার
গরম বা সেদ্ধ করে পান/ব্যবহার
সালাদ হিসেবে ব্যবহার
থানকুনি গাছের শেকড়ের ব্যবহার
থানকুনি পাতার নির্যাস সেবন
থানকুনি পাতা পরিমাণ মতো নিয়ে (১০-২০টা পাতা) নিয়ে মেথি বানিয়ে এর রস বের করে
অথবা চিবিয়ে এর রস সামান্য পরিমাণে চিনি/গুড়/মধু মিশিয়ে খেতে হবে। মিষ্টি জাতীয়
খাবার মিশ্রণের কারণ খেতে যেনো কোন প্রকার সমস্যা না হয় সেই জন্যে।
মেথি বানিয়ে ব্যবহার
থানকুনি পাতা ভালো ভাবে বেঁটে নিয়ে সাথে গোলাপজল মিশয়ে শরীরের যে কোন অংশে
লাগানো যেতে পারে বা ত্বকে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে কেউ যদি মেথি বানিয়ে
খেতে চায় তাহলে অবশ্যই গোলাপজল ছাড়া চিসন/গুড়/মধু মিশিয়ে খেতে পারে তবে কেউ
চাইলে এইসব ছাড়াও খেতে পারে। আর এই মেথি ব্যবহারের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি বুঝে কেউ
১০-১৫ মিনিট পরেই ধুয়ে ফেলতে পারে আবার কেউ চাইলে ঘুমানোর আগে ব্যবহার করে
সকালে ঘুম থেকে উঠে ধুয়ে ফেলতে পারে। তবে ত্বকে ব্যবহারের মৌলিক সময়
রাত্রে।
গরম বা সেদ্ধ করে পান/ব্যবহার
থানকুনি পাতা পরিমাণ মতো (১০-১৫টি) পানিতে সেদ্ধ করে সেই পানি কেউ চাইলে পান বা
সেবন করতে পারে আবার কেউ চাইলে কোন ক্ষত স্থানে বা চর্মরোগের জায়গাতে ব্যবহার
করতে পারে।
সালাদ হিসেবে ব্যবহার
অনেকেই এই থানকুনি পাতাকে সালাদ হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন। যেমনটি ধোনিয়া
পাতাকে কুচি করে বিভিন্ন খাবারের সাথে মিশিয়ে খায় তেমনটিও এই থানকুনি পাতা
দিয়েও রেসিপি তৈরি করে থাকেন। এতে করে ব্যবহারকৃত রেসিপি আরো পুষ্টিমান বৃদ্ধি
পায়।
থানকুনি গাছের শেকড়ের ব্যবহার
এই থানকুনি গাছের পাতার বাইরেও এর শেকড়ের অনেক গুণাগুণ রয়েছে যা ইতিমধ্যেই উপরে
আলোচনা করা হয়েছে। তবে এই শেকড় ব্যবহারের সময় পরিমাণ মতো কিছু শেকড় তুলে
ভালোভাবে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নিতে হবে তারপরে সেই পরিষ্কার শেকড়কে কেউ মেথি
বানিয়ে রস বের করে সেবন করতে পারেন আবার কেউ চিবিয়ে রস বের করে সেবন করতে
পারেন। তবে চিবিয়ে রস বের করে সেবন করাটাই বেশি কার্যকারী হিসেবে খ্যাত। এই রস
খাওয়ার সময় প্রয়োজন হলে কেউ চিনি/গুড়/মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। তবে চেষ্টা করবেন
খালি খালি খাওয়ার এটাই বেশি কার্যকারী।
অবশ্যই যেই বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখবেন
কোন সময় বেশি খেলে তাড়াতাড়ি ফলাফল পাওয়া যাবে এই ধারণা পোষণ করবেন না। এতে করে
আরো বেশি সমস্যা হতে পারে। সেই সাথে যখন খাবেন বা ব্যবহার করবেন অবশ্যই ভালো
করে পরিস্কার পানিতে পরিষ্কার করে নিবেন। প্রত্যেকটি বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করবেন এতে করে কোন বিপজ্জনক ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকে না।
এই থানকুনি গাছ একটি প্রাকৃতিক ভেষজ ঔষুধ বা আয়ুর্বেদিক ঔষুধ তাই এর ব্যবহার
অব্যশ্যই দেখেশুনে করা উচিত। কোন ভাবেই অবহেলা করা যাবেনা। মনে রাখবেন ভেষজ
ঔষুধের গুণাগুণ কিছুদিন পরে হলেও পাবেন কারণ অন্য সকল ঔষুধ কাজ না করলেও এই
ভেষজ ঔষুধ কখনো তার কার্যকারিতা বন্ধ রাখেনা। এই ভেষজ ঔষুধের ফলাফল যে কোন
ভাবেই অবশ্যই পাবেন।
মন্তব্য
এই থানকুনি গাছ অনেক কাজেই ব্যবহার হয়ে থাকে। এই গাছের শেকড়, পাতা, নির্যাস/রস, মেথি, গরম পানিতে সেদ্ধ করে বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করা যায়। তবে বর্ণনা অনুযায়ী সঠিক নিয়ম অনুসরণ করে এই গাছের শেকড় বা পাতার ব্যবহার করতে হবে। এতে করে সঠিক ও দ্রুত ফলাফল পাওয়া যায়। পরিশেষে আবারও বলি প্রত্যেকটা ক্ষেত্রেই সতর্কতা অবলম্বন করবেন কোন সময় অবহেলার দৃষ্টিতে দেখবেন না।
এই লিখনির মধ্যে সকল কার্যকারিতার কথা উল্লেখ আছে এমনটি না। মানুষের জ্ঞানের পরিধির শেষ নাই। বিভিন্ন এলাকায় এই গাছটি বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আমার জ্ঞানের পরিধি অনুসারে আমার সর্বোচ্চ দিয়ে সঠিক তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আমার লিখনির মধ্যে যদি কোন ভুল পরিলক্ষিত হয় বা উপকরণ অথবা কার্যকারিতার মধ্যে ভুল দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন আমি সঠিক করার চেষ্টা করবো এছাড়াও কোন পরামর্শ থাকলেও জানাবেন। কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে ক্ষমাসূলভ দৃষ্টিতে দেখবেন।
ABM Creative IT'র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url